জলাতঙ্কের টিকা না পাওয়ায় রোগীর পরিবারের রোষের মুখে পড়লেন দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকালে কুকুরের কামড় খেয়ে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক নিতে নাগেরবাজার পুর হাসপাতালে আসেন এক রোগী। কিন্তু টিকা না পেয়ে চিকিৎসক গৌতম সরখেলের উপরে চড়াও হয় রোগীর পরিবার। হাসপাতাল এবং পুরসভার কর্মীরা বাধা দিতে এলে তাঁরাও রেহাই পাননি। প্রতিষেধকের অভাবে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার দায় কে নেবে, সেই প্রশ্ন তোলেন রোগীর পরিজনেরা। যার কোনও সদুত্তর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ছিল না। কারণ, রাজ্য জুড়ে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক সরবরাহে সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রতিষেধক না পেয়ে মেজাজ হারান রোগীর পরিজনেরা।
পুরসভা সূত্রের খবর, পুর হাসপাতালে মজুত প্রতিষেধকের সংখ্যা কমে আসছে। যে সংস্থা ওই প্রতিষেধক সরবরাহ করে, তাদের কাছে চেয়েও টিকা পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে প্রথম টিকা নেওয়ার পরে যাঁদের দ্বিতীয় দফার টিকা নেওয়া বাকি আছে, তাঁদেরই প্রতিষেধক দেওয়া হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন প্রথম মাত্রার প্রতিষেধক নিতে আসা রোগীরা। কেন তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। কথা কাটাকাটি থেকে ক্রমশ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে।
এ দিন পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (স্বাস্থ্য) গোপা পাণ্ডে বলেন, ‘‘ইচ্ছাকৃত ভাবে কাউকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি, তা নয়। প্রতিষেধক সরবরাহে ঘাটতি থাকলে চিকিৎসকেরা কী করবেন? সরবরাহে সঙ্কটের কথা জানিয়ে হাসপাতালে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে।’’