যানজট থেকে খানিক স্বস্তি ভিআইপি রোডে

স্থানীয়দের কথায়, মেরামতির পরে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ইএম বাইপাসমুখী লেন খুলে দেওয়া, কেষ্টপুর খালের উপরে বেলি ব্রিজ চালু করা এবং ভিআইপি রোডে যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নতুন পরিকল্পনাই যানজট কমানোর নেপথ্যে উপযোগী হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

ফাইল চিত্র।

এত বছর ধরে পুজোর দিনগুলিতে ভিআইপি রোডে যান-যন্ত্রণা রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল সাধারণ মানুষ ও দর্শনার্থীদের কাছে। কয়েকটি পুজো ঘিরে মানুষ ও গাড়ির ভিড়ে দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছিল। সেই ছবিটা অবশেষে অনেকটাই কমল এ বছরের শারদোৎসবে। বিশেষত লেক টাউন কিংবা দমদম পার্ক এলাকায় গাড়ির গতি কিছুটা শ্লথ হলেও যানজটে ভোগান্তি তেমন হয়নি বলেই দর্শনার্থীদের দাবি। যদিও অষ্টমীর সন্ধ্যায় গাড়ির ভিড়ে বেশ কিছু ক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে ওই রাস্তা।

Advertisement

কী ভাবে এমন সাফল্য এল? স্থানীয়দের কথায়, মেরামতির পরে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ইএম বাইপাসমুখী লেন খুলে দেওয়া, কেষ্টপুর খালের উপরে বেলি ব্রিজ চালু করা এবং ভিআইপি রোডে যান নিয়ন্ত্রণে পুলিশের নতুন পরিকল্পনাই যানজট কমানোর নেপথ্যে উপযোগী হয়েছে।

অথচ তৃতীয়া থেকে যানজটের ছবিটা রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছিল বিধাননগর পুলিশকে। এর উপরে পঞ্চমীর সকাল থেকে অটোচালকদের বিক্ষোভ-অবরোধে সেই যানজট কয়েক গুণ বাড়ে। চূড়ান্ত হয়রানি হয় যাত্রীদের।

Advertisement

শেষমেশ পঞ্চমীর রাতে শুধু ছোট গাড়ির জন্য খুলে দেওয়া হয় উল্টোডাঙা উড়ালপুলের বাইপাসমুখী লেন। এর ফলে কিছুটা হলেও সমস্যা মেটে। ওই লেনটি খুলে দেওয়ার ফলে বিমানবন্দরের দিক থেকে উল্টোডাঙা পর্যন্ত গাড়ি মসৃণ ভাবে যেতে পেরেছে বলেই চালকদের একাংশের দাবি।

তবে দর্শনার্থীরা এ-ও বলছেন, নিরাপত্তা ও কাঠামোর অবস্থার কথা ভেবে ভিআইপি রোডের কয়েকটি ফুট ওভারব্রিজ দিয়ে যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করেছিল পুলিশ। ফলে কোন পথ দিয়ে সল্টলেকে যাওয়া যাবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায়। সে ক্ষেত্রে পথ-নির্দেশিকা থাকলে ভাল হত। এ নিয়ে প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, পুজোয় পুলিশকর্মীরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করেছেন। তৃতীয়া থেকে পঞ্চমী দর্শনার্থীদের একাংশের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও বাকি দিনগুলিতে তেমন সমস্যা হয়নি। পাশাপাশি, ভিআইপি রোড ছাড়া গাড়ি ও মানুষের ভিড় ছিল বিশ্ব বাংলা সরণি, নিউ টাউন এবং সল্টলেকেও। সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত যা ক্রমে বেড়েছিল। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই ছিল বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন