ভুল শুধরেই পুজোয় ট্র্যাফিক সামলাবে পুলিশ

প্রথমে গত বারের বিভিন্ন দুর্বলতা চিহ্নিত করতে চাইছে তারা।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১২
Share:

—ফাইল চিত্র।

গত বারের থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

প্রথমে গত বারের বিভিন্ন দুর্বলতা চিহ্নিত করতে চাইছে তারা। তার পরে সেগুলি শুধরে নিয়ে এ বারের পুজোর সময়কার ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে চাইছে লালবাজার। আর এর জন্য শহরের প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের ডিসি।

লালবাজার সূত্রের খবর, গত বার পুজোর ক’দিন কোথায় কোথায় যান চলাচলে সমস্যা হয়েছিল, ট্র্যাফিকের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে তা জানতে চাইছেন ডিসি। একই সঙ্গে ট্র্যাফিক পুলিশের ওসি এবং এসি-দের তিনি বলেছেন, এ বারের পুজোয় যান চলাচল মসৃণ রাখতে কী কী করা যায়, সুপারিশ আকারে তা জানাতে। সেই সমস্ত সুপারিশ পরে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

গত বছর পুজোর ঠিক আগে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ায় বেহালা, আলিপুর-সহ দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যানজটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই অবস্থা সামাল দিলেও পুজোর ক’দিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় যান চলাচলের গতি বাধা পেয়েছিল দর্শনার্থীদের ভিড়ের জন্য। এ বার তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্তারা। তাই প্রতিটি গার্ডের ওসি এবং এসি-দের সঙ্গে বৈঠক করে আগের বারের ভুলগুলিকে শুধরে নিতে চাইছেন পুলিশের কর্তারা।

ট্র্যাফিক পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, গত বার সব চেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছিল চেতলায়। একে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ায় বেশির ভাগ গাড়ি চলছিল দুর্গাপুর ব্রিজ দিয়ে আলিপুর রোড ও চেতলা সেন্ট্রাল রোড দিয়ে। পুজোর দর্শনার্থীদের ভিড় ও গাড়ির চাপে এক সময়ে বেসামাল হয়ে পড়ে ওই এলাকার যান চলাচল। বাধ্য হয়ে আরও বেশি সংখ্যক পুলিশ আধিকারিককে নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন পুলিশকর্তারা। ডিসি-র সঙ্গে বৈঠকে গত বারের এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। এ বার চেতলা লকগেট ব্রিজ বন্ধ থাকায় ওই এলাকায় পুজোর ক’দিন প্রবল যানজটের আশঙ্কা করছেন পুলিশের কর্তারা। সেই কারণে এ বার গত বারের থেকে বেশি সংখ্যক পুলিশ অফিসার ও কর্মীদের মোতায়েন করা হচ্ছে ওই এলাকায়। আবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য এ বার ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দু’পাশে বসানো হবে বাঁশের ব্যারিকেড। আমহার্স্ট স্ট্রিটের একটি অংশেও অতিরিক্ত ব্যারিকেড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পুলিশের এক কর্তা জানান, শোভাবাজার রাজবাড়িতে দিনের বেলায় বাসে করে প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। পুলিশকর্মী কম থাকায় ওই রাস্তায় তখন যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়। এ বার সেখানে সকাল থেকেই অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

তবে বন্দর এলাকার সত্য ডাক্তার রোড, হাইড রোড-সহ একাধিক রাস্তার হাল খুবই খারাপ। সঙ্গে বিষফোড়ার মতো যুক্ত হয়েছে চেতলা লকগেট ব্রিজ বন্ধ থাকার বিষয়টি। যার জেরে প্রতিদিন টালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর, চেতলা, খিদিরপুর ও বন্দরের একাংশ যানজটের কবলে পড়ছে নিয়মিত। তাই পুজোর ক’দিন ট্র্যাফিকের অবস্থা কী হবে, তা নিয়েই চিন্তিত পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন