তিহাড়ে জেরার মুখে চক্রী

দু’-এক জন নয়। এটিএম থেকে টাকা লোপাটের চক্রে অনেক বিদেশি এবং কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতী জড়িত বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। পুরো চক্রের খোঁজ পেতে এ বার তিহাড় জেলে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৮ ০৩:০৩
Share:

দু’-এক জন নয়। এটিএম থেকে টাকা লোপাটের চক্রে অনেক বিদেশি এবং কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতী জড়িত বলে তদন্তকারীদের সন্দেহ। পুরো চক্রের খোঁজ পেতে এ বার তিহাড় জেলে যাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, ওই চক্রের মাথা কর্নেল ত্রাইয়ান মিয়েরাকে দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে তিহাড় জেলে বন্দি। আদালতের অনুমতি নিয়ে ত্রাইয়ানকে জেরা করবে পুলিশ। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান প্রবীণ ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘আশা করছি, ত্রাইয়ানকে জেরা করার অনুমতি বুধবারের মধ্যেই পেয়ে যাব।’’

Advertisement

দিল্লির বিভিন্ন এলাকার এটিএমে লাগাতার নজরদারি চালানো হচ্ছে। পুলিশ জানায়, তারা দিল্লির বিভিন্ন এটিএমে আরও তিন জন সন্দেহভাজন রোমানিয়ানের সন্ধান পেয়েছে। স্কিমিং মেশিন লাগিয়ে টাকা হাতাচ্ছিল তারাও। ওই তিন জনের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। পুলিশের খবর, টাকা তোলার জন্য স্থানীয় দুই দুষ্কৃতী কসবার এটিএমে যে-যন্ত্র লাগাচ্ছিল, ফরেন্সিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সেটি ছিল স্কিমিং মেশিন। স্থানীয় জালিয়াতদের হাতে কী ভাবে স্কিমিং মেশিন এল, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। দুষ্কৃতীরা অনলাইনেই স্কিমিং মেশিন কিনেছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। যে-সব অনলাইনে এই যন্ত্র বিক্রি হচ্ছে, সেগুলির উপরে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।

কানাড়া ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখার ম্যানেজার সুকুমার দফাদার জানান, তাঁদের এটিএম থেকে ৪৪ জন গ্রাহকের টাকা খোয়া গিয়েছে। প্রত্যেককেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ৪৪ জনের টাকাই সেভিংস অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন