— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
খুনের পর দিন সকালেই দুই অভিযুক্ত ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছিলেন ওড়িশার উদ্দেশে! পার্ক স্ট্রিটের হোটেলে বক্সখাটের ভিতর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারের চার দিন পর ওড়িশা থেকে তাঁদের গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দফতর। কিন্তু খুনের নেপথ্যে কী কারণ, পরিকল্পনামাফিক কলকাতায় নিয়ে এসে খুন করা হয়েছিল কি না— সে সব নিয়ে ধন্দ কাটছিল না। এ বার সেই রহস্যের কিনারা করল পুলিশ।
বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, বুধবার ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল শক্তিকান্ত বেহেরা ও সন্তোষ বেহেরাকে। জানা গিয়েছে, ধৃত শক্তিকান্তই রাহুল লাল নামে ওই যুবককে খুন করেন। গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃতেরা দু’জনেই ঢেঙ্কানাল জেলার বাসিন্দা। গত ২২ তারিখ তাঁরা কলকাতায় আসেন। জেরায় জানা গিয়েছে, কিছু পুরনো জিনিস কিনতে ট্রেনে চেপে কলকাতায় এসেছিলেন তাঁরা। কেনাকাটার পর তাঁরা ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের দিকে ঘুরতে যান। সেখানেই রাহুলের সঙ্গে আলাপ হয় তাঁদের। অল্প আলাপেই গড়ে ওঠে সখ্য। রাহুলের সঙ্গে মদ্যপানও করেন দুই অভিযুক্ত। তার পর রাহুলকে নিয়ে তাঁরা পার্ক স্ট্রিটের রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের ওই হোটেলে গিয়ে ওঠেন।
ঘর নেওয়া হয়েছিল শক্তিকান্ত ও রাহুলের ভাইয়ের নামে। পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে তাঁদের পরিচয়পত্র দেখানো হয়েছিল। ঘরের ভিতর রাহুলকে ছুরি দেখিয়ে শাসাতে শুরু করেন অভিযুক্তেরা। টাকাপয়সা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করা হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়ে যায় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে রাহুলকে খুন করেন শক্তিকান্ত। তার পর দেহটি বক্সখাটের ভিতরে লুকিয়ে রেখে হোটেল ছেড়ে পালিয়ে যান দু’জনে। পর দিন, অর্থাৎ ২৩ তারিখ সকালে ট্রেন ধরে ফের ওড়িশা চলে যান তাঁরা।