সাহিত্যে তৃতীয় স্বরের অনুচ্চ কণ্ঠ নিয়ে নানা সম্ভাবনার দিক উঠে এল কলকাতা ক্যুয়ার লিট ফেস্ট-এ।
বার্লিন প্রবাসী বাংলাদেশি গল্পকার নাসিমা সেলিম অলীক বা মুম্বই আইআইটি-র শিক্ষক অভিজিৎ মজুমদারের আগে দেখা হয়নি। দু’জনেই প্রান্তিক যৌনতার অধিকার বা ক্যুয়ার মনন নিয়ে লেখালেখি-ভাবনার চর্চা করেন নিঃশব্দে। এক সাহিত্য উৎসব তাঁদের মিলিয়ে দিল। শনিবার ম্যাক্সমুলার ভবনের সহায়তায় কলকাতা ক্যুয়ার লিট ফেস্ট বা প্রান্তিক যৌনতা সাহিত্য উৎসবের আসর বসেছিল।
অভিনেত্রী কবি তিস্তা দাস, রূপান্তরকামীদের অধিকার নিয়ে ছবি তৈরিতে যুক্ত চলচ্চিত্র পরিচালক দেবলীনা, রূপান্তরকামী নারী তথা সমাজকর্মী অনিন্দ্য হাজরা, ট্রান্সজেন্ডার বোর্ডের প্রাক্তন সদস্য অপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থার তরফে শুভঙ্কর দে, সৌরভ মুখোপাধ্যায়, মন্দিরা সেনরা শামিল হলেন আলোচনায়। সাহিত্যে তৃতীয় স্বরের অনুচ্চ কণ্ঠ নিয়ে নানা সম্ভাবনার দিক উঠে এল। প্রান্তিকতার ভিন্নতর অর্থ উঠে এল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মহম্মদ রিয়াজের কথায়। যৌন সংখ্যালঘুদের প্রান্তিকতাকে এ দেশে জাতধর্মের মাপকাঠিতে প্রান্তিক অস্তিত্বের নিরিখে দেখল এই সম্মেলন। ৩৭৭ ধারা বাতিলের পরে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করলেন সমকামী আন্দোলনের যোদ্ধা পবন ঢল বা উত্তরবঙ্গের সাহিত্য-সমাজকর্মী সুমি দাস। যৌন সংখ্যালঘু অধিকারের এক মঞ্চের উদ্যোগে আসরটির সঞ্চালনায় ছিলেন রূপান্তরকামী নারী অনুরাগ মৈত্রেয়ী ও রূপান্তরকামী পুরুষ ঈপ্সিতা।