প্রতীকী ছবি।
ভাঙাচোরা লঞ্চে নয়, এ বার থেকে গঙ্গাবক্ষে স্পিডবোটে নজরদারি চালাবে পুলিশ। দ্রুত গতির ওই বোটে করে সহজেই কলকাতা থেকে বজবজ কিংবা কোন্নগরে পৌঁছে যাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে এসেছে ওই নতুন জলযান। নতুন বছরেই ওই নতুন জলযান ব্যবহার করার কথা।
লালবাজার জানিয়েছে, জলপথে টহলদারির পাশাপাশি বড় কোনও বিপর্যয়েও উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা যাবে ১২টি আসনবিশিষ্ট ওই স্পিডবোট। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই স্পিডবোটে করে রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের বাবুঘাটের অফিস থেকে অর্ধেকেরও কম সময়ে বজবজ কিংবা কোন্নগরে পৌঁছনো যাবে। একই সঙ্গে গঙ্গার পার্শ্ববর্তী বন্দর এলাকার বিভিন্ন থানায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে রাস্তা এড়িয়ে জলপথেই ঘটনাস্থলে যেতে পারবে কলকাতা পুলিশ।
এর আগে লালবাজার রিভার ট্র্যাফিক পুলিশ নজরদারির জন্য পাঁচটি জেট স্কি জলে নামিয়েছিল। সেই সঙ্গে জলপুলিশের কাছে রয়েছে দু’টি লঞ্চ, যা দিয়ে দক্ষিণে বজবজ থেকে উত্তরে কোন্নগর পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকার উপরে নজরদারি চালানো হয়। জলপথে দুর্ঘটনা ছাড়াও ৩৩টি ঘাট এবং বিদ্যাসাগর সেতু-সহ তিনটি সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্ব রয়েছে কলকাতা রিভার ট্র্যাফিক পুলিশের হাতে, যা এত দিন কাঠের লঞ্চ এবং জেট স্কি দিয়েই করা হত।
বিসর্জন বা গঙ্গাবক্ষে কোনও অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রায় ৩০০ স্কোয়ার মিটারের ভাসমান প্ল্যাটফর্মও কিনেছে কলকাতা পুলিশ। ছোট ছোট ব্লক দিয়ে তৈরি ওই প্ল্যাটফর্ম জলাশয়েও ব্যবহার করা যাবে। বিসর্জন, ছট কিংবা মহালয়ায় তপর্ণের মতো দিনগুলিতে এ বার থেকে মাঝগঙ্গায় ওই ভাসমান প্ল্যাটফর্মে থাকবেন বিপর্যয় মোকাবিলা
বাহিনীর সদস্যেরা।