অটোর রংবাজি রুখতে বাজি রংই

শহরের পথে অটো-দৌরাত্ম্য রুখতে প্রতিটি রুটের অটোকে আলাদা রং করার প্রস্তাব দিল ট্র্যাফিক পুলিশ। বড় রুট বন্ধ করে ছোট রুটে অটো চালানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক আধিকারিকদের মতে, একেক রুটের অটো একেক রঙের হলে অটো রুট ভেঙে চললে সহজে ধরা যাবে।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

রং দিয়ে যায় চেনা!

Advertisement

শহরের পথে অটো-দৌরাত্ম্য রুখতে প্রতিটি রুটের অটোকে আলাদা রং করার প্রস্তাব দিল ট্র্যাফিক পুলিশ। বড় রুট বন্ধ করে ছোট রুটে অটো চালানোর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক আধিকারিকদের মতে, একেক রুটের অটো একেক রঙের হলে অটো রুট ভেঙে চললে সহজে ধরা যাবে।

অটোচালকদের শৃঙ্খলায় বাঁধতে কমিটি গড়েছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, সাত সদস্যের ওই কমিটি ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ডের কাছে অটো-রাজ নিয়ন্ত্রণে পরামর্শ চায়। অধিকাংশ গার্ডই প্রস্তাব পাঠিয়ে দিয়েছে। তাতে প্রতিটি রুটের জন্য পৃথক রঙের কথা বলা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে রুট পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বড় রুট ভেঙে ছোট ছোট রুট তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে, যাতে চালকেরা কাটা রুটে অটো চালাতে না পারেন। বলা হয়েছে চালকদের নির্দিষ্ট পোশাকের কথাও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বিভিন্ন রুটের অটোর ভাড়ায় যাতে সামঞ্জস্য থাকে, সেই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে। অটোয় চার জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যায় না। কিন্তু পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে অনেক সময়েই চালকেরা পাঁচ জন নেন। এমন যাতে না হয়, সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও নেওয়ার কথা বলেছে অধিকাংশ ট্র্যাফিক গার্ড।

২০০৩-এ পরিবহণ দফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কলকাতা পুলিশ এলাকায় প্রায় ১২৫টি রুটে অটো চলে। অভিযোগ, এর একটি বড় অংশই চলে রুটের বাইরে। বহু রুটেই চার জনের বেশি যাত্রী নেওয়া হয়। ২০১১-এ ক্ষমতায় এসেই অটোকে শৃঙ্খলায় বাঁধতে আশিস ঠাকুরের নেতৃত্বে কমিটি গড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটির কোনও সুপারিশই এখনও রূপায়িত হয়নি। পুজোর আগে পরিবহণ দফতর ওই কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই নতুন অটো-নীতির খসড়া করেছিল। লালবাজারের দাবি, বেপরোয়া অটোয় লাগাম পরাতে পরিবহণ দফতরের ওই খসড়ার সঙ্গে ট্র্যাফিক পুলিশের প্রস্তাব মিলিয়েই নয়া অটো-নীতি তৈরি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন