ট্র্যাফিক জরিমানায় ছাড় দিতেই মিলল সাড়া

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পে যাতে সকলেই সুবিধা পান, তাই কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে ব্যবসায়িক কায়দায় ‘কলসেন্টার’ চালু করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:১৩
Share:

কলকাতা পুলিশের চালু করা ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেটলমেন্ট স্কিম’ প্রকল্পের হোর্ডিং।—ফাইল চিত্র।

অফিসে কাজের মাঝে ডুবেছিলেন মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। আচমকা বেজে উঠল মোবাইল। ফোন ধরতেই অন্য প্রান্তের ব্যক্তি পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে তাঁকে জানালেন, তাঁর ট্র্যাফিক আইনভঙ্গের জরিমানার টাকা বকেয়া আছে। ঘাবড়ে গিয়ে ওই ব্যক্তি পরিচিত এক পুলিশ অফিসারকে ফোন করে জানতে পারেন, ট্র্যাফিক আইন ভাঙার বকেয়া জরিমানা আদায় করতে কলকাতা পুলিশের চালু করা ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেটলমেন্ট স্কিম’ প্রকল্পের জন্য ওই ফোন। যাতে বকেয়া জরিমানা জমা দিলে ছাড় মিলছে।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, ওই প্রকল্পে যাতে সকলেই সুবিধা পান, তাই কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ডের তরফে ব্যবসায়িক কায়দায় ‘কলসেন্টার’ চালু করা হয়েছে। দু’-তিন জন পুলিশকর্মী চলতি মাসের প্রথম থেকে প্রতিদিন গাড়ির মালিকদের ফোন করে মনে করিয়ে দিচ্ছেন ওই প্রকল্পের সুবিধা নিয়ে বকেয়া জরিমানা মিটিয়ে দেওয়ার কথা। প্রকল্পটি সফল করতে প্রতিটি গার্ডে এক জন করে সমন্বয় অফিসারও রাখা হয়েছে।

প্রথম দফা চালু হয়েছে ১ ডিসেম্বর। চলবে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। ওই সময়ের মধ্যে জরিমানার বকেয়া টাকা জমা দিলে মোট অঙ্কের ৬৫ শতাংশ ছাড় মিলবে।পুলিশ সূত্রের খবর, শহরের পঞ্চাশ লক্ষ বকেয়া ট্র্যাফিক আইনভঙ্গের জরিমানার পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। প্রায় তামাদি হয়ে যাওয়া ওই বকেয়া আদায় করতেই ‘ওয়ান টাইম ট্র্যাফিক সেটলমেন্ট স্কিম’ চালু করে লালবাজার। সেই সুবিধা যাতে সহজেই সকলে পান, সে জন্য লালবাজারের তরফে প্রতিটি ট্র্যাফিক গার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রত্যেক গার্ডকে জরিমানা বকেয়া রয়েছে এমন ১০০-২০০টি গাড়ির মালিকের ফোন নম্বর প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন ট্র্যাফিক গার্ড তাদের কর্মীদের দিয়ে চালু করা ‘কলসেন্টারের’ মাধ্যমে ফোন করছেন মালিকদের।

Advertisement

লালবাজার সূত্রের খবর, ঠিক সময়ে জরিমানা দেওয়ার প্রবণতা মানুষের কম। তবে প্রকল্প চালু হওয়ায় প্রথম দু’সপ্তাহে ভালই সাড়া মিলেছে। প্রায় আট কোটি বকেয়া টাকা জরিমানা হিসেবে আদায় হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার এক ট্র্যাফিক গার্ডে বকেয়া জরিমানা দিতে আসা বয়স্কেরা ইতিমধ্যেই তাঁদের মতো নাগরিকদের জন্য পৃথক লাইন চালু করতে বলেছেন।
তবে লালবাজারের একটি অংশ জানিয়েছে, বকেয়া থাকা অনেক গাড়ির মালিকের ফোন নম্বর বদলে গিয়েছে। অথবা পুরনো গাড়ি মালিক বাতিল বা বিক্রি করে দিয়েছেন। ওই সব ক্ষেত্রে কী ভাবে বকেয়া জরিমানা আদায় করা হবে, তা নিয়ে বৈঠকে বসবেন আধিকারিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন