কলকাতার কড়চা

পঞ্চম বৈদিক তাদের নতুন প্রযোজনা ‘মাছি’তে খুঁজতে চাইছে আজকের ওরেস্টেসকে। সার্ত্রের মূল নাটক ‘ফ্লাইজ’কে ভিত্তি করেই তাদের এই খোঁজ। মূলত গ্রিক পুরাণ-নির্ভর সার্ত্রের নাটকটিতে ঈশ্বর ও রাজা দু’জনেই আর্গোসবাসীকে পাপের ভয় দেখিয়ে তাঁদের নিজ আধিপত্যে রাখেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৭ ০১:০৬
Share:

মহড়ার ছবি: প্রণব বসু।

নতুন ভাবনায় ‘মাছি’

Advertisement

পঞ্চম বৈদিক তাদের নতুন প্রযোজনা ‘মাছি’তে খুঁজতে চাইছে আজকের ওরেস্টেসকে। সার্ত্রের মূল নাটক ‘ফ্লাইজ’কে ভিত্তি করেই তাদের এই খোঁজ। মূলত গ্রিক পুরাণ-নির্ভর সার্ত্রের নাটকটিতে ঈশ্বর ও রাজা দু’জনেই আর্গোসবাসীকে পাপের ভয় দেখিয়ে তাঁদের নিজ আধিপত্যে রাখেন। এই দুইয়ের মাঝে পিষ্ট আর্গোসবাসীকে তাদের পাপবোধ থেকে মুক্তি দেয় রাজকুমার ওরেস্টেস। ‘১৯৪৩ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নাটকটা লেখেন সার্ত্র, যখন জাতীয়তাবাদের জিগির তুলে হিটলার রক্ষা করতে চাইছেন তাঁর ক্ষমতা। তেমনই এক সময় আজ এ দেশে, যখন হিন্দুত্বের জিগির তুলে নিজেদের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে আর এক শক্তি।’ বলছিলেন নির্দেশক অর্পিতা ঘোষ, অনুবাদ তাঁরই। ‘প্রবেশদ্বার থেকে মঞ্চ অবধি মিনার্ভা থিয়েটারের সম্পূর্ণ স্পেসটাকে ব্যবহার করা হচ্ছে, অভিনয় বা সেট সাজানোর ভিতর দিয়ে, গোটা নাটকটাই ডিজাইন করা এ ভাবে’, জানালেন তিনি, ‘শ্রেয়ান চট্টোপাধ্যায়ের আবহ ভিন্ন মাত্রা দিয়েছে নাটকটাকে, এই প্রথম কাজ তাঁর।’ বিশেষ সহযোগিতায় শাঁওলী মিত্র ও দেবেশ চট্টোপাধ্যায়। শুধু মিনার্ভাতেই হবে প্রতি দ্বিতীয় ও চতুর্থ শনিবার। প্রথম অভিনয় ২০ মে সন্ধে সাড়ে ৬টায়।

নাটক সমগ্র

Advertisement

ছেলেবেলা থেকেই অভিনয়ের জন্য নাটক খোঁজাটা উত্তর-কৈশোরে এসে তাঁর মনে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি করে— কোথা থেকে অভিনয় ও প্রয়োগের উপযোগী উৎকৃষ্ট নাটক পাওয়া যায়। তত দিনে তৈরি হয়েছে তাঁর প্রবল সাহিত্য অনুরাগও। বাংলা নাটকের পাশাপাশি ভিন্‌ভাষী নাটক পড়ার উন্মাদনা। এই এষণা থেকেই বিদেশি নাটকের প্রতি মন যায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। আর সে সব নাটকের বঙ্গীকরণ করতে গিয়ে সতত তাঁর মনে হয়েছে ‘যা সমসময়ের স্বদেশের ক্ষেত্রেও সত্য বলে প্রত্যয় হয় সেইটাকেই রাখার চেষ্টা করতে হবে আমার অ্যাডাপটেশনে।’ প্রায় ছ’দশক ধরে বিভিন্ন সময়ে ২৯ টি নাটক রচনা করেছেন, সে সবেরই সমাহার তাঁর নাটকসমগ্র (আনন্দ), সম্প্রতি প্রকাশ পেল দ্বিতীয় খণ্ডটি। এতে আছে: সেরিবা-সেরিবান, ঘটক বিদায়, আরোহণ, জন্মান্তর, চন্দনপুরের চোর, ন্যায়মূর্তি, প্রাণতপস্যা, কুরবানি এবং টাইপিস্ট। শুরুতেই তাঁর ‘নাট্যকারের কথা’, শেষে তথ্যপঞ্জিতে রচনা-উৎস ও প্রথম মঞ্চায়ন বিবরণ।

অমর পাল ৯৬

‘আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়...’ খ্যাত লোকশিল্পী ছিয়ানব্বইয়ে পা। তিনি লোকসংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি। একাধারে গায়ক, সুরকার অমর পালের জন্ম ১৯২২-এর ১৯ মে, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। মা দুর্গাসুন্দরী দেবীর কাছে লোকসংগীতে হাতেখড়ি। আট বছর উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম উস্তাদ আলাউদ্দিন খানের ছোট ভাই আয়েত আলি খানের কাছে। ১৯৫১ সালে আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের লোকসংগীত শিল্পী হিসেবে গান পরিবেশন। দেবকী বসু, সত্যজিৎ রায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ছবিতে গান গেয়েছেন। সংগীত নাটক অ্যাকাডেমি-সহ দেশে-বিদেশে একাধিক সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ১৮ মে সন্ধে সাড়ে ৬টায় বিড়লা অ্যাকাডেমিতে তাঁর গাওয়া লোকগানের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছেন সমীর আইচ, তপন রায় এবং প্রাণেশ সোম। উপস্থিত থাকবেন শিল্পী স্বয়ং ও বিভাস চক্রবর্তী।

রাখি-উৎসব

হিন্দু-মুসলমানের বাইরের বিরোধ ঘুচিয়ে অন্তরে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে ধর্মের ভিত্তিতে বঙ্গভঙ্গ রোধে রাখিবন্ধনকে হাতিয়ার করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। আমাদের চারপাশে আজ অদ্ভুত এক বিদ্বেষের আবহ। চোখ-কান খোলা রাখলে তার আঁচ টের পাওয়া যায়। এ বছর রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে কবিরই দেখানো পথে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাঙন রোধে রাখিবন্ধন উৎসব পালিত হল হাওড়ায় উপদ্রুত এলাকা ধুলাগড়ে। বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ রাস্তায় নেমে রবীন্দ্রনাথের গান গেয়ে হিন্দু মুসলমান পরস্পরের হাতে সোনালি সুতো পরিয়ে দিয়ে ছড়িয়ে দিলেন মৈত্রীর বার্তা। স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। কেবল হাওড়া বা কলকাতা নয় বিভিন্ন জেলাতেও মিশ্র বসবাসের মহল্লাগুলোতে এ বারের ২৫ বৈশাখ উদযাপনে প্রাধান্য পেয়েছে সম্প্রীতি, সুস্থ জাতীয়তাবাদের মতো বিষয়। সংকট কালে রবীন্দ্রনাথই যে আমাদের আশ্রয়।

দেবেন্দ্রনাথ

তিনি ধর্মতত্ত্ব আলোচনার উদ্দেশ্যে তত্ত্বরঞ্জিনী সভা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে বিনা বেতনে বাংলা ভাষার মাধ্যমে বিজ্ঞান ও ধর্মশাস্ত্র বিষয়ক উপদেশ দেওয়ার জন্য অক্ষয়কুমার দত্তের সহায়তায় ‘তত্ত্ববোধিনী পাঠশালা’ স্থাপন করেছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এ বার তাঁরই জন্ম দ্বিশতবার্ষিকী উপলক্ষে আইসিসিআর-এ ১৫ মে, সন্ধে ৬টায় ‘পিতা-পুত্র’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন। যেখানে মহর্ষির জীবনী ও তাঁর গান তো শোনা যাবেই, সঙ্গে তাঁর পুত্র রবির ‘রবীন্দ্রনাথ’ হয়ে ওঠার গল্প, এবং তাঁর গানে মহর্ষির প্রভাব, যোগাযোগ— এ সবই ছুঁয়ে দেখা হবে দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠানে। গান শোনাবেন প্রবুদ্ধ রাহা, প্রদীপ দত্ত, রিনা দোলন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুমন মজুমদার। পাঠে অনিরুদ্ধ রক্ষিত। স্ক্রিপ্ট ও পরিচালনা রিনা দোলন বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাতাজি

উত্তর কলকাতার ‘আদি মহাকালী পাঠশালা’-র প্রতিষ্ঠাত্রী মাতাজি গঙ্গাবাঈ, ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহের অন্যতম নেত্রী ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ-এর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ছিলেন। তিনি মহাবিদ্রোহেও যোগ দেন। পরবর্তী কালে তিনি নেপালে আধ্যাত্মিকতায় যুক্ত হয়ে পড়েন। এত কিছু সত্ত্বেও তিনি শিক্ষার মাধ্যমে নারীমুক্তির স্বপ্ন দেখতেন। বিদেশি শাসনে জর্জরিত ভারতে নারী শিক্ষার প্রসারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। আর সেই স্বপ্নকেই বাস্তবায়িত করতে ১৮৯৩ সালে মাত্র তিরিশ জন ছাত্রী নিয়ে গড়ে তোলেন কৈলাস বোস স্ট্রিটের স্কুলটি। সেই স্কুলই ১২৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করল ঘরোয়া পুজো ও বর্ণাঢ্য পদযাত্রার মাধ্যমে। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট জন।

বাতিল চিঠি

একটি মেয়ে ২০০৫-২০০৯, এই সময়কালে চিঠি লিখে চলেছিল তার প্রেমিককে। এ শহর তখন পরিবর্তনে টলমল, রাজনীতি-শিক্ষা-সংস্কৃতির পালাবদল। ওই সময়ই রিজওয়ানুর, সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম, চিঠির ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে ইয়াহু, অর্কুট ছেড়ে ফেসবুক ও তার পর স্মার্টফোন, আটপৌরে চিঠি বেচারা চিলেকোঠার এক কোণে শুধু স্মৃতি-স্বপ্নে ভাসে। তবু কলেজ পড়ুয়া কিশোরীটি তার মৃত প্রেমিকের উদ্দেশে চিঠি লিখে যায়। চিঠিগুলি তাই বাতিলের খাতায়, চিঠিতে মেয়েটি বাস্তব আর পরাবাস্তবের সেতু আঁকে যেন... হারিয়ে যাওয়া হলুদ খাম, শহরে বিলুপ্তপ্রায় অ্যান্টেনা, হাইরাইজে মুখ লুকনো চিলেকোঠা। ‘বাতিল চিঠি’— এক ঘন্টার ইন্টিমেট থিয়েটার ফর্মে বাঁধা। নাটক, নির্দেশনায় গুলশনারা, অভিনয়ে তাঁর সঙ্গে সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। প্রযোজনা প্রক্ষেপণে অরিত্র। সংগীত ও আলো শমীকের, স্থিরচিত্র স্বাতীর। ১৭ ও ১৮ মে, পদাতিক লিটল থিয়েটারে, রাত ৮টা থেকে।

মিউজিয়ম দিবস

আমাদের সংগ্রহশালাগুলি কি মৃত্যুপথযাত্রী? ভারতীয় সংগ্রহশালা কি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলে ঢোকার জন্য অনেক সময় লম্বা লাইন দেখলে এ উচ্চারণ হয়ত অবিশ্বাস্য মনে হবে। কিন্তু শুধু এমন কয়েকটা প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিচার করলে ভুল হবে। কলকাতায় সব মিলিয়ে সংগ্রহশালার সংখ্যা চল্লিশের বেশি। তার অধিকাংশের খোঁজ কলকাতার মানুষই রাখেন না, বাইরের লোকের তো প্রশ্নই নেই। অধিকাংশেরই কোনও প্রচার নেই, দর্শক সংখ্যাও নগণ্য। কোথাও রক্ষণাবেক্ষণের অবস্থাও খুব খারাপ। এমন কেন হচ্ছে? বহু-প্রত্যাশিত মিউজিয়ম ডিরেক্টরি আজও আলোর মুখ দেখল না। আন্তর্জাতিক সংগ্রহশালা দিবস উপলক্ষে ১৮ মে বিকেল ৫টায় ভারতীয় সংগ্রহশালার আশুতোষ জন্মশতবার্ষিকী সভাগৃহে এ নিয়েই বলবেন জহর সরকার। তারপর সাড়ে ৬টায় সংগ্রহশালার কেন্দ্রীয় প্রাঙ্গণে সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের সংগীতানুষ্ঠান।

পুরাণকথা

টেরাকোটা বা মাটির কাজ দিয়েও যে গল্পের বইয়ের ইলাস্ট্রেশন করা যায় সেটি করে দেখিয়েছেন তিনি! দেশবাড়ি মেদিনীপুরে থাকবার সময় থেকেই মাটির সঙ্গে সখ্যতা শিল্পী রামকুমার মান্নার। অতএব মাটিতেই ওঁর নানাবিধ গল্প বলা। সেই গল্পের তাগিদেই শিল্পী ফিরে যান মা-ঠাকুমার গল্পের ঝুলিতে। যেখানে থাকে লোকআঙ্গিকের টান, থাকে পৌরাণিক চরিত্ররা। শিল্পী মনে করেন, ‘ক্রমেই তো আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে এই সব, সেই কারণেই চেষ্টা একটু কিছু ধরে রাখবার।‘ এই তাগিদ থেকেই শুরু করেছিলেন পুরাণ বা লোককথা নিয়ে কাজ। শিল্পীর সাম্প্রতিক এই সমস্ত কাজ নিয়েই ১৯ মে বিকেল ৫ টায় ‘মিথোলজি রিক্রিয়েটেড’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীটি শুরু হচ্ছে পঙ্কজ মল্লিক সরণি-র শ্রী আর্ট গ্যালারিতে, উদ্বোধন করবেন হোপ ফাউন্ডেশন ইন্ডিয়া-র সিইও সুজাতা সেন। ২ জুন পর্যন্ত, ৩-৭ টা। সঙ্গের ছবি প্রদর্শনী থেকে।

নগরনট

তিনি প্রায় একার কাঁধে বহন করে চলেছেন সকল নাগরিক নাট্যধারার ভার। তিনি একের মধ্যে বহু, আবার বহুর মধ্যে এক। তিনি দেবশঙ্কর হালদার। এই মুহূর্তে তিনি বিশ-পঁচিশটি নাটকের কেন্দ্রবৃত্তে, যা প্রতি দিন দেশের কোথাও না কোথাও অভিনীত হয়ে চলেছে। বাংলা চলচ্চিত্রেও তিনি এখন অন্য ধারার পুরোধা নায়ক। এ বার তাঁকে ঘিরেই প্রসেনজিত চক্রবর্তীর উদ্যোগে শহর কলকাতার পথশিশুদের বিনোদন ও কল্যাণে তহবিল সংগ্রহের ভাবনায় অ্যাকাডেমিতে, সাড়ে ৬টায় হাওড়ার অনুকৃতি নাট্যদল আয়োজন করেছে— ‘নগরনট’। থাকবে দক্ষিণ রুচিরঙ্গ প্রযোজিত, রজতেন্দ্র মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত দেবশঙ্করের একক অভিনয় ‘বর্ণপরিচয়’। থাকবে দেবশঙ্করের একটি অন্তরঙ্গ আলাপচারিতা, সঙ্গে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, সুরজিৎ সেনগুপ্ত, চন্দন সেন, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, অংশুমান ভৌমিক, সম্রাট মুখোপাধ্যায় ও সেঁজুতি মুখোপাধ্যায়। উপস্থাপনায়: নট ও নির্দেশক তপনজ্যোতি।

বিশ্বায়ন

শাস্ত্রীয় সংগীতে কলকাতার গুরুত্ব কি ক্রমেই কমে আসছে? বড় সংগীত অনুষ্ঠান আগের মতো থাকলেও ছোটখাটো অনুষ্ঠান কিংবা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান কি আগের থেকে অনেক কম ঘটে কলকাতায়? কিছু কাল ধরেই শাস্ত্রীয় সংগীতপ্রেমীদের মনে এই সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই সংশয়ের মধ্যেই একটি সুসংবাদ। পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং উস্তাদ মশকুর আলি খানের একটি সম্প্রতি প্রকাশিত সিডি মনে করিয়ে দিল, এই দুই সংগীতজ্ঞই কিন্তু কলকাতার সঙ্গে যুক্ত, কলকাতার সংগীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির সঙ্গেও। উত্তরপ্রদেশ সংগীত-সমৃদ্ধ কৈরানা অঞ্চলের সন্তান কণ্ঠসংগীতশিল্পী উস্তাদ মশকুর আলি খান কিরানা ঘরানার অসামান্য রূপকার। উস্তাদ আবদুল করিম খান এবং উস্তাদ আবদুল ওয়াহিদ খান কেবল তাঁর পূর্বসূরি নন, তাঁর প্রত্যক্ষ পরিবার। সিডি-টি প্রকাশ করল ব্রিটেনের নিম্বাস অ্যালায়েন্স কোম্পানি। আন্তর্জাতিক কোনও বাণিজ্যিক সংস্থা ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের সিডি প্রকাশ করছে, এমন ঘটনা সুলভ নয়। রেকর্ডিং অবশ্য ব্রিটেন বা ভারতের বদলে নিউ ইয়র্কের স্টুডিয়োয়। আক্ষরিক অর্থে বিশ্বায়ন। শাস্ত্রীয় সংগীতেরও। কলকাতারও।

আলোকচিত্রী

ছবি: গোপী দে সরকার।

সলমন খানের তরফ থেকেই আমন্ত্রণ পেয়ে মুম্বই গমন, ‘সেই ছিল আমার বিগ ব্রেক’, বলছিলেন আলোকচিত্রী দেবজিৎ চক্রবর্তী। জন্ম কটকের কাছে। বাবার বদলির চাকরির সুবাদে ঘুরতে হয়েছে নানা স্থানে। ‘বাবা অবসর নেওয়ার পর কলকাতায় ফিরে এসে এমবিএ শেষ করি।’ তারপর মুম্বই, প্রোডাকশন এবং সেলিব্রিটি ম্যানেজমেন্ট-এর কাজের ফাঁকে ফাঁকে ফটোগ্রাফিতে আগ্রহ। বাবা চলে যাওয়ার পর মা একা বলে এই শহরে ফেরা, মনস্থির করেন, সমতা শীর্ষকে বাংলা নতুন বছরে একটি ক্যালেন্ডার করবেন। পেশাদার মডেলদের সঙ্গে নিয়ে আসেন রূপান্তরকামীদেরও। সকলেরই সমান অধিকার, সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। সেই সামাজিক বার্তা ছড়িয়ে দিতে চান তিনি এই দিনপঞ্জির মধ্যে দিয়েই। ওঁর সঙ্গে এগিয়ে এলেন এই শহরের শিল্পোদ্যোগী অতুল ডালমিয়া এবং মার্সি অ্যান্ড ভিশন নামের একটি সংস্থা । এঁদেরই যৌথ উদ্যোগে সম্প্রতি কাফে হেরিটেজ-এ প্রকাশ পেল কালবৈশাখী শীর্ষকে সেই বাংলা ক্যালেন্ডার। সঙ্গে ছিলেন মৌ, শুভম, কণিকা, রাজীব, সিসমো এবং শ্রেয়া নামে দিনপঞ্জির মডেলরা। ‘অনেকদিন এই বাংলা থেকে দূরে ছিলাম,’ বলছিলেন তিনি, ‘এখন এখানে কাজ করতে দারুণ ভাল লাগছে। আরও নতুন কিছু করতে চাই।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন