কলকাতার কড়চা

প্রান্তিক মানুষদের পাশাপাশি কথা বলেছেন বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গেও। বুঝতে চেয়েছেন এই সীমান্ত কি কেবল কাঁটাতারের বেড়া না কি দু’বাংলার মানুষের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘ্য মানসিক ব্যবধান।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ০০:০০
Share:

তানভীরের ‘সীমান্তরেখা’

Advertisement

কখনও ট্রেনে, কখনও আবার স্টেশনে নেমে বাঁশি বাজান মানুষটি, যাত্রী বা পথচারীদের মধ্যে দু’একজন যা দেন তা নিয়েই বাড়ি ফেরেন। অভাব আর নিরাপত্তার তাড়নায় চলে এসেছেন ও-বাংলা থেকে এ-বাংলায়। ওপারে থাকতে যাত্রাদলে ক্ল্যারিনেট বাজাতেন। ক্রমশ শরীর ভেঙে আসছে, কতদিন এ ভাবে পারবেন, জানেন না।’ স্বাধীনতার সত্তর বছর পূর্তি উপলক্ষে তানভীর মোকাম্মেল-এর নতুন ছবি ‘সীমান্তরেখা’র শুটিং-অভিজ্ঞতা জানাচ্ছিলেন তাঁর মুখ্য সহযোগী সুশীল সাহা, ‘পি এল ক্যাম্প-এর মানুষজন, যাঁরা সরকারের পার্মানেন্ট লায়াবিলিটি, তাঁরা অনেকেই সরকারের বোঝা হয়ে থাকেননি, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। আবার উল্টো চিত্র মানা ক্যাম্পে— ম্লানমুখ ছিন্নবস্ত্র হতদরিদ্র কয়েক জন বৃদ্ধা। এঁরা সকলেই তাঁদের বেদনার অনুভূতি বললেন ক্যামেরা আর সাউন্ড-রেকর্ডারের সামনে।’ দেশভাগ বা বঙ্গব্যবচ্ছেদ নিয়ে বাংলাদেশের বিশিষ্ট পরিচালক তানভীরের দীর্ঘকালের গবেষণালব্ধ মর্মস্পর্শী এক প্রামাণ্যচিত্র এই ‘সীমান্তরেখা’। দু’দেশের সীমান্তে সীমান্তে ছবির রসদ খুঁজেছেন তিনি। প্রান্তিক মানুষদের পাশাপাশি কথা বলেছেন বিদ্বজ্জনেদের সঙ্গেও। বুঝতে চেয়েছেন এই সীমান্ত কি কেবল কাঁটাতারের বেড়া না কি দু’বাংলার মানুষের মধ্যে কোনও অলঙ্ঘ্য মানসিক ব্যবধান। ৩০ অক্টোবর সন্ধে ৬টায় গোর্কিসদনে। রাষ্ট্রপুঞ্জ প্রতিষ্ঠার ৭২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ২৫ থেকে এই আয়োজন আইজেনস্টাইন সিনে ক্লাব-এর।

পথিকৃৎ

Advertisement

ঠিক একশো বছর আগে মারা গিয়েছিলেন হীরালাল সেন। আত্মবিস্মৃত বাঙালি কতটুকুই বা তাঁকে মনে রাখে! ১৮৯৬-তে তিনিই প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করে ব্রিটিশ-শাসিত ভারতীয় উপমহাদেশে এক স্বদেশি ইতিহাসের সূচনা করেন। তাঁকে নিয়ে ইতস্তত চর্চা চলে এখানে, আদতে তিনিই যে ভারতীয় ছবির পথিকৃৎ, দাদাসাহেব ফালকে নন, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরবও হই আমরা, কিন্তু ওই পর্যন্তই। বাংলাদেশের মানুষজনের লাগাতার চর্চা তাঁকে নিয়ে, সম্প্রতি গবেষক স্বজন মাঝি তথ্যচিত্রও তৈরি করেছেন। ১৮৬৮-তে মানিকগঞ্জের বগজুরি গ্রামে জন্ম, ঢাকাতেই স্থিরচিত্র চর্চার শুরু, কলকাতায় এসে সফল চলচ্চিত্রকার। ‘আলিবাবা ও চল্লিশচোর’-সহ একাধিক কাহিনিচিত্র, বঙ্গভঙ্গবিরোধী তথ্যচিত্র, বহুবিধ বিজ্ঞাপনচিত্রের স্রষ্টা এই মানুষটির জীবনের শেষ দিনগুলি কাটে চরম সংকটে। ভবানীপুরে এসকে ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট-এর সঙ্গে যৌথ ভাবে তাদের প্রিভিউ থিয়েটারে বিকেল ৫টায় তাঁর মৃত্যুদিন ২৬ অক্টোবর উদ্‌যাপন করবে ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ। স্বজন মাঝি-সহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট জনেদের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন এ বঙ্গের বিশিষ্ট জনেরাও।

পুতুলনাচ

এই বঙ্গের পুতুল নাচের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। কিন্তু তবুও হাতে গোনা ক’টি দল এখন অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কারণ, প্রতিদিন কমে আসছে উৎসাহীর সংখ্যা। সংগীত নাটক অকাদেমি প্রতি বছর নিয়ম করে ‘পুতুল যাত্রা’ নামে একটি উৎসবের আয়োজন করে। কিন্তু আলাদা ভাবে কোনও উৎসব হয় না। এই প্রথম বার এই শহরে আয়োজিত হয়েছে একটি বড় মাপের পুতুল নাট্য উৎসব। ২৬-৩১ অক্টোবর পর্যন্ত শহর জুড়ে পালিত হবে এই উৎসবটি। আয়োজনে পাপেটস ইউনাইট নেবারস বা সংক্ষেপে ‘পান’। সঙ্গে রয়েছে জেমস অ্যাকাডেমিয়া স্কুল এবং ডলস থিয়েটার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি হবে মোহরকুঞ্জে। রয়েছে শিল্পী এবং পুতুলদের নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য রোড-শো। পান-এর নির্দেশক গুরপ্রীত কৌর শেটি জানালেন, এই শহরের বিভিন্ন স্কুল ছাড়াও কোয়েস্ট মল, অ্যাক্সিস মল এবং পি সি চন্দ্র গার্ডেনে থাকবে অনুষ্ঠান। ভারত ছাড়াও এই উৎসবে আসছে ব্রিটেন, জার্মানি, পেরু, পর্তুগাল, ইতালি, লিথুয়ানিয়া, ব্রাজিল এবং সিঙ্গাপুর। থাকবে পুতুল নিয়ে কর্মশালা। ৩১ অক্টোবর বাংলার পর্যটন দফতর অতিথি শিল্পীদের ঘুরিয়ে দেখাবে কলকাতা শহর এবং সন্ধেয় সমাপ্তি অনুষ্ঠানটি হবে জ্ঞানমঞ্চে।

একাকিনী

ঊনবিংশ শতাব্দীতে বঙ্গীয় নবজাগরণের সময় অধিকাংশ পরিবারে আমরা দেখি নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। সাংসারিক জটিলতা ও পুরুষতান্ত্রিক নিষ্পেষণে ঢাকা পড়ে যেত নারীর সম্মান। সেই সময়েই একটি পরিবারের বাতাবরণে প্রচ্ছন্ন ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্ত্রী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বউঠান কাদম্বরী দেবী। রবীন্দ্রনাথের উন্মেষের পর্বে তাঁর ছিল আশ্চর্য ভূমিকা। পারিবারিক প্রেক্ষাপটে তাঁর এই স্মরণীয় অবদানকে তুলে ধরা হয়েছে থিয়েটার কমিউন প্রযোজিত, সুব্রত মুখোপাধ্যায় রচিত, নির্দেশিত ‘একাকিনী’তে। প্রথম শো অ্যাকাডেমিতে, ৩১ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে ৬টায়।

মনের কথা

‘‘রবীন্দ্রনাথের ভাষা, আমার মনের কথা’— এই বাক্যটি আমি অনেকদিন আমার চিন্তায় লালন করেছি। আমাদের অনুভূতি কবি কেমন করে যেন সুন্দর ভাবে নিজের ভাষায় ফুটিয়ে তুলতে পারেন, কয়েকটি নির্বাচিত কবিতা পাঠের মধ্য দিয়ে তারই প্রকাশ।’ লিখেছেন কৃষ্ণা বসু। ভাবনা থেকে প্রকাশিত ‘রবীন্দ্রনাথের ভাষা, আমার মনের কথা’ শীর্ষক সিডিতে তিনি সাতটি রবীন্দ্রকবিতা পাঠ করেছেন, যার মধ্যে আছে ‘দুয়ারে প্রস্তুত গাড়ি’, ‘অন্ধকার বনচ্ছায়ে’, নূতন তব জন্ম লাগি’, ‘সাধু যবে স্বর্গে গেল’, ‘কহিল গভীর রাত্রে’, ‘এ ঘরে ফুরালো খেলা’, আর ‘যাবার সময় হলে’। তাঁর কথায়, ‘শুধু ব্যক্তিজীবনের সুখ, দুঃখ, আনন্দ, বেদনা নয়, যখন কোন সাম্প্রতিক ঘটনাও মনকে নাড়া দেয় অথবা কোন চিরন্তন সত্য মনকে আলোড়িত করে তখনো আমারই অভিজ্ঞতা দেখতে পাই কবির ভাষায়।’ সেই দেখারই প্রতিফলন রয়ে গেল এই কবিতাপাঠে।

নিবেদিতা

মাত্র তেরো বছর ভারতের সেবা করবার সুযোগ পেয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা। আয়ারল্যান্ডের মেয়ে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবল ভারতে এসে ‘নিবেদিতা’ হলেন, গুরু স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তাঁর প্রকৃত ভারতদর্শন। শ্রীমা সারদার প্রাণভরা স্নেহ পেয়েছেন নিবেদিতা। বাকি জীবনটা কাটল অসহায় আর্ত মানুষের সেবায়, ভারতের শিল্প ও লোকসংস্কৃতিকে ভালবেসে, নারীশিক্ষার জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করে, এমনকী ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়ে। নিবেদিতার জীবনের এই সব দিকগুলি তুলে ধরে তাঁর জন্মের সার্ধশতবর্ষে তথ্যচিত্র ‘নিবেদিতা’ নির্মাণ করেছেন গবেষক ও পরিচালক সনৎকুমার মহান্ত। শান্তিনিকেতনের এই প্রাক্তনী দীর্ঘদিন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহের প্রধান সহকারী ছিলেন। রাজীব মেহরা প্রযোজিত ৮৬ মিনিটের ছবিটি দেখানো হবে ২৭ অক্টোবর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের বিবেকানন্দ হলে।

ফিরে দেখা

গাঁধীজি তখন ডাক দিয়েছেন ভারত ছাড়ো আন্দোলনে শামিল হওয়ার জন্যে। ১৯৪২-এর ৮ অগস্ট কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি স্বাধীনতা সংগ্রামকে আরও জোরদার করার জন্য এই প্রস্তাব গ্রহণ করল। ৯ অগস্ট ভোরে গাঁধীজির সঙ্গেই কমিটির সদস্যদের গ্রেফতার করে ব্রিটিশ সরকার। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন। পরেরটুকু ইতিহাস। এবছর এই আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে বেশ কিছু অনুষ্ঠান, চলবে এক বছর জুড়ে। রিভিজিটিং ৪২ শীর্ষকে প্রথম পর্যায়ে ২৬-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত রয়েছে অনুষ্ঠান, রাজারহাটে আর্টস একর-এ। তিন দিনের আর্ট ক্যাম্প-এ যোগ দেবেন ভারত এবং বাংলাদেশের শিল্পীরা। ২৭ তারিখ চারটেয় আলোচনাচক্র— ‘ভারত ছাড়ো আন্দোলনে গাঁধীজির ভূমিকা কি সর্বাঙ্গীণএই বিষয়ে বলবেন বিশিষ্টজন। সন্ধে ৬টায় প্রদর্শিত হবে শিল্পী টোটা বৈকুণ্ঠমকে নিয়ে নির্মিত টোটা, শ্যাডো বিহাইন্ড দ্য ক্যানভাস শীর্ষকে পার্থপ্রতিম রায়ের একটি তথ্যচিত্র। যৌথ ভাবে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজক রিফ্লেকশন অব অ্যানাদার ডে, বিরাসত আর্ট ও পাবলিকেশন এবং আয়তক্ষেত্র।

মুদ্রণ কর্মশালা

শুধু ভাল বিষয় ভাবতে পারলেই হয় না, সাজিয়ে-গুছিয়ে পরিবেশনের কায়দা জানাটাও জরুরি। বাণিজ্যিক পত্রিকাই প্রচ্ছদ, অলংকরণ বা বাঁধাই নিয়ে ভাববে আর লিটল ম্যাগাজিন ছাপা হবে যেমন-তেমন করে, এমন ভাবনার যুগ গিয়েছে। কী ভাবে স্বল্প বরাদ্দেও তৈরি করে ফেলা যায় ঝকঝকে পত্রিকা, তা হাতে-কলমে শেখাতে হুগলির উত্তরপাড়ায় সম্প্রতি হয়ে গেল সাত দিনের কর্মশালা। আগ্রহী সম্পাদকদের মুদ্রণ প্রযুক্তির আমূল বদল, লেটারপ্রেসের বস্তুময়তা থেকে অফসেটের ভার্চুয়ালে যাত্রার মুদ্রাগুলি চিনিয়ে দিলেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। সমগ্র প্রকল্প রূপায়ণে সুস্নাত চৌধুরী। ‘ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ফর দি আর্টস’-এর সহায়তায় এই কর্মশালার দ্বিতীয় পর্ব ২৭-৩১ অক্টোবর। ছবি কর্মশালা থেকে।

স্মরণ

বাংলা লোকসংগীত, বিশেষত ভাওয়াইয়ার প্রবাদপ্রতিম শিল্পী আব্বাসউদ্দিন আহমেদের জন্ম (১৯০১-১৯৫৯) কোচবিহারের তুফানগঞ্জে। তিনি ছিলেন স্বশিক্ষিত শিল্পী। এইচ এম ভি-র জন্য আধুনিক বাংলা গান গেয়ে সূচনা, পরে তিনি ভাওয়াইয়া গান রেকর্ড করেন, অন্যান্য লোকসংগীত যেমন জারি সারি ভাটিয়ালিও গেয়েছেন। এ বারও আব্বাসউদ্দিনের জন্মদিন পালনের জন্য আব্বাসউদ্দিন স্মরণ সমিতি আগামী ২৯ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র, বিধাননগরে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে লোকসংগীতের মরমি শিল্পী অমর পালকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

কবিতাকে চেনা

কবি কবিতা সৃষ্টি করেন আর আবৃত্তিকার কবিতায় প্রাণ দেন অর্থাৎ জীবন্ত করে তোলেন— এ কথা যেমন সত্যি, তেমনই কবিতার বই সংগ্রহ করে ক’জন কবিতা পড়েন জানা না গেলেও, আবৃত্তির মাধ্যমে সমস্ত মানুষের কাছে কবিতাকে পৌঁছে দেওয়া যায়, এ কথাও প্রমাণিত সত্য। তাই এ বার সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কবিতাকে চিনতে না পারলে তা কখনওই আবৃত্তি হয়ে উঠতে পারে না’— এই ভাবনা নিয়েই ২৯ অক্টোবর, সকাল ১১-৪টে পর্যন্ত, আইসিসিআর-এ এক অভিনব কর্মশালার আয়োজন করেছেন।

পার্সিদের নিয়ে

জগতের ধর্মগুলির কোনওটি প্রকাশিত, কোনওটি প্রচারিত। জরথ্রুস্ট্রবাদকে যেমন বলা হয় বিশ্বের প্রাচীনতম প্রকাশিত ধর্ম। এই ধর্মের উপাসকরা পারস্য থেকে ছড়িয়ে পড়েছেন সারা বিশ্বে। ভারতে বা কলকাতায় আমরা তাঁদের ‘পার্সি’ নামেই চিনি, যদিও তাঁদের জীবনযাত্রা, কৃষ্টি সম্পর্কে আম-বাঙালির জ্ঞান অপরিসর। এই শহরের ‘ক্যালকাটা জোরোস্ট্রিয়ান কমিউনিটি’-র বয়স পেরিয়েছে দেড়শো বছর, বছরভর উদ্‌যাপনের শেষলগ্নে ‘পারজর ফাউন্ডেশন’-এর সহযোগিতায় তাঁরা আয়োজন করেছেন এক বিশেষ প্রদর্শনীর। বিশ্বভাবনায় পার্সিদের অবদান, তাঁদের প্রতীকবাদ, পরিবেশচিন্তা, শিল্পকৃতি জানা ও বোঝার এক সুবর্ণসুযোগ। দেখা যাবে তাঁদের অপূর্ব সূচিশিল্প, সিরামিক্‌স ও রুপোর কাজ, আছে মন-মাতানো পার্সি খাবারও। ৫২ চৌরঙ্গি রোডের ওলপাডওয়ালা মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হল-এ প্রদর্শনী ২৬-২৯ অক্টোবর, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা।

জন্মদিন

তাঁর ভানুদাদা রবীন্দ্রনাথ ব্রুকসাইড থেকে একবার একটি চিঠিতে লিখছেন, ‘আজ কার্তিকী অমাবস্যা, আজ তোমার জন্মদিন...’। এই চিঠি এখন সংরক্ষিত রয়েছে কলকাতার অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের সংগ্রহে (নং এন৩৬২২/৮৯)। অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসের প্রতিষ্ঠাতা লেডি রানু মুখোপাধ্যায়। অতএব তাঁর জন্মদিনটি জানা খুব জরুরি, কিন্তু এ নিয়ে ছিল নানা বিভ্রান্তি। অতএব লেডি রানুর ঠিক জন্মদিনের খোঁজে নেমে পড়েছিলেন অ্যাকাডেমির কিউরেটর বৈশালী ঘোষ দত্ত। নানা তথ্যের সঙ্গে এই জন্মদিন খোঁজের সূত্রেই রবীন্দ্রনাথের চিঠিতে অনুসন্ধান। এরই সূত্র ধরে দেখা গেল ১৩২৬ বঙ্গাব্দের কার্তিকী অমাবস্যা হচ্ছে ইংরেজি ১৯০৬-এর ১৭ অক্টোবর। বৈশালীদেবী যোগাযোগ করেন পুনেতে রানুর কনিষ্ঠা কন্যা নীতা পিল্লাই-এর সঙ্গে। তিনি জানান, মায়ের এই জন্মদিনটিই ঠিক এবং সেই জন্মদিনেও ছিল কালীপূজা। তিনি আরও জানান, মায়ের কখনওই ইচ্ছে ছিল না যে তাঁর মূর্তি স্থাপিত হোক কোথাও। বরং অতুল বসুর আঁকা প্রতিকৃতিটি (সঙ্গের ছবি, অ্যাকাডেমি সংগ্রহ) ছিল তাঁর অতিপ্রিয়। এবারে সেই জন্মদিনটি পালিত হল যথাযোগ্য মর্যাদায়। ঈশা মহম্মদ-সহ অ্যাকাডেমির কর্মসমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আগামীতে বড় ভাবে কোনও অনুষ্ঠান করা যায় কি না ভেবে দেখা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন