ফিরে এল ‘সিরাজ’
স্মৃতির অতলে চলেই গিয়েছিল বিষয়টি! আজ থেকে প্রায় নব্বই বছর আগে তৈরি হয়েছিল একটি ছবি সিরাজ: আ রোমান্স অব ইন্ডিয়া শীর্ষকে। এই ছবির চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন বিপিনচন্দ্র পালের পুত্র নিরঞ্জন পাল। প্রযোজক ছিলেন পরবর্তীতে বম্বে টকিজ-এর প্রতিষ্ঠাতা হিমাংশু রায়। ভারত, ব্রিটেন এবং জার্মানি— এই ত্রিদেশীয় উদ্যোগে ১৯২৮ সালে ছবিটি তৈরি হয় ব্রিটিশ ইনস্ট্রাকশনাল ফিল্মস প্রোডাকশনের ব্যানারে। ভারতীয় ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে সাদাকালো ঐতিহাসিক কাহিনিটি পরিচালনা করেন জার্মান পরিচালক ফ্রাঞ্জ অস্টেন, চলচ্চিত্র ইতিহাস যে পরিচালককে মনে রেখেছে ওঁর অচ্ছুৎ কন্যা বা জীবন নাইয়া-র মতো ছবির জন্যে। ছবিতে সম্রাট শাহজাহানের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চারু রায় এবং এণাক্ষী রাম রাও ফুটিয়ে তুলেছেন বেগম মমতাজের চরিত্রটি। হিমাংশু রায়কে দেখা যাবে সিরাজ, অর্থাৎ ছবিটির নায়কের ভূমিকায়। দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অগোচরে থাকবার পর সম্প্রতি ছবিটির সংস্কার করা হয়েছে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের ন্যাশনাল আর্কাইভের তত্ত্বাবধানে। সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। কিন্তু এতে কোনও শব্দ সংযোজনের হদিশ মেলেনি। অতএব ছবিটির শব্দ নির্মাণের জন্য আহ্বান করা হয় রবিশঙ্কর-কন্যা অনুষ্কা শঙ্করকে। তিনি ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করে এই ছবির সংগীত নির্মাণ করেছেন। ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ৩ নভেম্বর কলকাতার সংগীত কলামন্দিরে (৪৮ থিয়েটার রোড) সন্ধে ৬টায় প্রদর্শিত হবে এই ছবিটি। এ বছর ভারত-ব্রিটেন সাংস্কৃতিক বিনিময় বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে এ দেশে আসছে এই ছবি। কলকাতা ছাড়াও ছবিটি প্রদর্শিত হবে দিল্লি ও হায়দরাবাদে। সঙ্গের তারই স্থিরচিত্র।
শতবর্ষ
বর্ধমান জেলার মুলটি গ্রামে ১৯১৭ সালে জন্ম হয় তাঁর। মেধাবী ছাত্র ছিলেন দেবব্রত রেজ, ১৯৩৭-এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বর্ণপদক পান। নিজের চেষ্টায় তিনি জার্মান, ফরাসি, রুশ ও অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষা আয়ত্ত করেন। ‘বিচিত্রা’ পত্রিকায় তাঁর সাহিত্যচর্চা শুরু। ষাটের দশকে ‘শনিবারের চিঠি’র নিয়মিত লেখক ছিলেন। প্রায় দু’দশক ধরে প্রকাশিত তাঁর উপন্যাস, গল্প, প্রবন্ধ, নাটক এক নতুন ধারার লেখক হিসাবে তাঁকে চিহ্নিত করে। তাঁর লেখা একাধিক নাটক কলকাতায় মঞ্চস্থ হয়। গ্যেটে ও নিটশের লেখা জার্মান থেকে, নবোকভ ও দস্তয়েভস্কির উপন্যাস রুশ থেকে অনুবাদ করেন। প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ তাঁকে স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন। সেখানে তিনি ভাষাতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ছিলেন। জীবনের শেষ দিকে তিনি ইংরেজিতেই লিখতেন। তাঁর লেখা দীর্ঘ কবিতার পাণ্ডুলিপি সুইডিশ অ্যাকাডেমির লাইব্রেরিতে রক্ষিত আছে। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রয়াত হন। ১ নভেম্বর তাঁর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে অনুষ্ঠান আইসিসিআর-এ, বিকেল ৫টায়। তাঁকে নিয়ে একটি ওয়েবসাইটও উদ্বোধন করা হবে সে দিন।
সাহিত্যপ্রেমী
কবিতার দীর্ঘ দিনের সাধক মৃত্যুঞ্জয় সেনের (১৯৪২-২০১৭) প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ পায় সেই ষাটের দশকে: ঐতিহাসিক কণ্ঠস্বর, তার পর একে একে লেটলতিফের গল্প, দ্বিতীয় প্রার্থনা-সহ বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থ। জন্ম বারুইপুরে, কর্মজীবন ব্যাংকে, পঁচাত্তর বছরের জীবনে কবিতার পাশাপাশি গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধ-ভ্রমণকথাতেও প্রখর ছিল তাঁর কলম। সম্পাদনার শুরু কবিবন্ধু উত্তম দাশের সঙ্গে, সত্তর দশকের ‘মহাদিগন্ত’ পত্রিকায়। পরে একক উদ্যোগে ‘লোকসখা’, তাতে ‘ঘুম’ বা ‘ট্রাম’-এর মতো বিশেষ সংখ্যাগুলি পাঠক-সমাদৃত। সম্পাদনা করেন ‘বাংলা ভাষার লেখক অভিধান’, ‘মুখোমুখি সুনীল’, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও আসে ওই সম্পাদনার সূত্রে। একই সঙ্গে একাধিক দেশীয় সম্মান। তৈরি করেছিলেন লোকসখা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, তার তত্ত্বাবধানেই বারুইপুরের কাছে কৃষ্ণমোহনে বনলতা কুটিরে স্থাপন করেন কচিকাঁচাদের জন্যে স্কুল। শিল্পীদের নিয়ে আর্ট ভিলেজ-এর কাজ শুরু করেছিলেন পৈতৃক ভিটে বর্ধমানের দরিয়াপুরে। কবি-লেখক-শিল্পীদের অত্যন্ত কাছের মানুষটি চলে গেলেন হঠাৎই।
নিরহং শিল্পী
রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়াত শিল্পী কাকলি রায় তাঁর অহংহীনতা অর্জন করেছিলেন রবীন্দ্রনাথের গানের ভিতর দিয়েই। একবার তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠান গান্ধার রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষায়তন-এর এক অনুষ্ঠানে কাকলির গান শুনে রাধামোহন ভট্টাচার্য একটি চিঠিতে শঙ্খ ঘোষকে লিখেছিলেন ‘অমন চমৎকার গলা... মোটে একটি একলা গানে বড় কম পাওয়া হল। নিশ্চয় নিজে নেত্রী বলে তার বেশি নিজের ভাগে রাখেনি। সবাই এমন হয় না।’ এমনই নিরহং শিল্পী ছিলেন কাকলি, লিখেও গিয়েছেন তাঁর আজীবন গান-শেখার বিবরণ: জীবন জুড়ে গান। তাঁর ৭৫তম জন্মদিনে, ৩১ অক্টোবর সন্ধে সাড়ে ৬টায় রবীন্দ্র-ওকাকুরা ভবনে এই প্রথম স্মরণ অনুষ্ঠান, তাঁর জীবনাবসানের পর, গান্ধার-এর উদ্যোগে। এ বঙ্গের শ্রীনন্দা মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে গাইতে আসছেন লাইসা আহমদ লিসা, গাইবেন গান্ধার-এর সদস্যরাও। উদ্বোধন করবেন শঙ্খ ঘোষ।
প্রতিভূ
বেহুলা ও চাঁদ সওদাগরের কাহিনির প্রথম চলচ্চিত্রায়ন ছিল চারু চিত্রকলার নিবেদন ‘সতী বেহুলা’, সেই ১৯৫২-’৫৩ সালে। চাঁদ সওদাগরের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ছবি বিশ্বাসকে, আর তাঁর স্ত্রীর চরিত্রে, পদ্মা দেবীকে। মনসা হয়েছিলেন নমিতা সেনগুপ্তা, আর বেহুলার ভূমিকায় ছিলেন, নমিতারই আর এক বোন, মুক্তি সেনগুপ্তা। সেই সময়টাকে বাঙালি মেয়েদের রঙ্গমঞ্চ ও সাংস্কৃতিক জগতে পদার্পণের আদিলগ্ন বললে ভুল হবে না। মুক্তি দেবী সেই পরিবর্তনশীল পরিবেশেরই প্রতিভূ। দেশভাগের পর পূর্ব বাংলা থেকে আসা পরিবারের কন্যাটি নাচের তালিম নিয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী প্রহ্লাদ দাস ও পরে জয়দেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। তার পর ‘সুরছন্দম্’কে কেন্দ্র করে গড়ে তুলেছিলেন রবীন্দ্রনৃত্য-গীতের ছন্দোময় পরিবেশ। বেহুলার মতোই সাহস ও দৃঢ়তা সে দিন মুক্তির মতো বাঙালি মেয়েদের। সে এক যুগের উদ্বোধন, বলা যেতে পারে। মুক্তি সেনগুপ্তা (গুপ্ত) প্রয়াত হলেন ১০ অক্টোবর ২০১৭।
জঙ্গল মহল
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী এক বিশাল অঞ্চল পরিচিত ‘জঙ্গল মহল’ নামে। যে নাম শুনলে এখনও কিছুটা ভয়, কিছুটা অনিশ্চয়তার ছবি ভেসে ওঠে অধিকাংশ শহরবাসীর চোখে। কিন্তু এ ভাবে আর কত দিন? গত কয়েক বছর ধরে তাই জঙ্গল মহলই চলে আসছে কলকাতায়। নিজেদের আসল পরিচয়টা নিজেরাই দেবে বলে। অঞ্চলের নানা প্রান্তের শিল্পকেই বেছে নেওয়া হয়েছে আলাপ জমানোর মাধ্যম হিসেবে। ৩-৫ নভেম্বর মোহরকুঞ্জের মঞ্চে দিনভর চলবে জঙ্গল মহল উৎসব। ভুয়াং-চাং-পাতা নাচ-ছো নাচের অঞ্চলের শিল্পীদের সঙ্গে পরিচয় ঘটবে কলকাতায় বসেই। এ শহরের উৎসাহীদের নিয়ে হবে টুসু-ভাদুর কর্মশালাও।
ভাইফোঁটা
ওদের পথ ঘাট মাঠ রাজপ্রাসাদ স্বপ্ন ফেরি সবই মহানগরের রাস্তা ফুটপাত ও অলিগলিতে। ‘নুন আনতে পান্তা ফুরোয়’— ওদের জীবনে উৎসব আসে উৎসব যায়, দিন বয়ে যায় একই ভাবে, তাতে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা দূর অস্ত! ডি আশিস মেডিক্যাল ব্যাংকের আয়োজনে এ বার ভাইফোঁটার সকালে ভবিষ্যতে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখতে এমনই প্রায় দুশো পথশিশু ছাত্রছাত্রী একত্র হয়েছিল শোভাবাজার মেট্রোর এক নম্বর গেটের সামনে। মহাত্মা গাঁধী থেকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের ছবির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে, তাঁদের ছবিতেই প্রথমে শিশুদের দিয়ে প্রতীকী ফোঁটা দেওয়া হল। এর পর খোলা আকাশের নীচে দাদা দিদি ভাইবোন মিলেমিশে গেল ভাইফোঁটা দিতে নিতে।
জীববৈচিত্র
বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী, শিলাদিত্য চৌধুরী ও ধীমান ঘোষ। নেশা ও পেশার সূত্রে বনজঙ্গল-বন্যপ্রাণের সঙ্গে তিন জনেরই যোগ ঘনিষ্ঠ। কেউ ভারত, কেউ বা আফ্রিকার বন্যপ্রাণীর অজস্র ছবি তুলেছেন। এ বার সেই সব ছবি থেকেই বেছে নিয়ে আয়োজিত হয়েছিল ‘উডস অ্যাওয়ে’ শীর্ষক চার দিনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, আইটিসি সোনার-এর সহযোগিতায়। বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরীর কথায়, ‘আমাদের জীববৈচিত্র যে বিপন্ন, তা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতেই এই প্রদর্শনী।’ প্রদর্শনীর ছবিগুলি নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি চমৎকার বই— ওয়াইল্ডারনেস। সঙ্গে তারই প্রচ্ছদ।
ইন্দ্ররঙ্গ
তখনও গুজরাত দাঙ্গার দগদগে ঘা শুকোয়নি, বছর দুয়েক পেরিয়েছে, ব্রাত্য বসুর ‘১৭ জুলাই’ মঞ্চস্থ হল ২০০৪-এ, প্রধান ভূমিকায় ছিলেন প্রয়াত পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়... এক যুগ পরেও সে স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল। জন ওয়েসলের ‘দে শ্যাল নট ডাই’ আর উৎপল দত্তের ‘মানুষের অধিকারে’ অবলম্বনে নাটকটি লিখেছিলেন ব্রাত্য। এ বারে নাটকটির নতুন নির্মাণে অভিনয় করবেন ব্রাত্য, সঙ্গে বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশনায় দেবাশীষ দত্ত, প্রযোজনায় থিয়েলাভার্স। থিয়েলাভার্স-এর কর্ণধার ভর্গনাথ ভট্টাচার্য মনে করেন, এ দেশে এখন সাম্প্রদায়িক অশান্তির বাতাবরণ, ফলে নতুন করে নাটকটির প্রযোজনা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাইকপাড়া ইন্দ্ররঙ্গ-এর আসন্ন জাতীয় নাট্যোৎসব ‘ইন্দ্ররঙ-মহোৎসব’-এর উদ্বোধনের দিন ৫ নভেম্বর দুপুর ২.৩০-এ নবনির্মিত এ নাটকের প্রথম অভিনয় (সঙ্গে তারই মহড়ার ছবি)। এ উৎসবের বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করতে আসছেন পরেশ রাওয়াল, সৌরভ শুক্ল, শরমণ যোশী, সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি প্রমুখ। ১২ নভেম্বর অবধি চলবে উৎসব, অ্যাকাডেমি ও মোহিত মৈত্র মঞ্চে। উদ্বোধন করবেন শঙ্খ ঘোষ।
বাংলাদেশ নাট্যোৎসব
কলকাতায় এ বার বাংলাদেশের নাট্যোৎসব। নান্দীপটের উদ্যোগে, অন্য থিয়েটার ও পূর্ব পশ্চিম নাট্যদলের সহযোগিতায় বাংলাদেশের প্রথম সারির নাট্যদল ‘প্রাঙ্গণেমোর’ তাদের জনপ্রিয় সাতটি নাটক নিয়ে আইসিসিআর-এ ‘প্রাঙ্গণেমোর বাংলাদেশ নাট্যোৎসব ২০১৭’ আয়োজন করেছে ৩-৮ নভেম্বর, রোজ সন্ধ্যা ৭টায়। থাকছে আমি ও রবীন্দ্রনাথ, ঈর্ষা, শেষের কবিতা, আওরঙ্গজেব, কনডেমড সেল প্রভৃতি নাটক। ৩ নভেম্বর ৬টায় উদ্বোধনে থাকবেন বিভাস চক্রবর্তী, অর্পিতা ঘোষ, মামুনুর রশীদ, লিয়াকত আলি লাকী প্রমুখ নাট্যব্যক্তিত্ব। ৫ নভেম্বর সকাল ১১টায় উন্মুক্ত আলোচনা ‘কেমন ছিল, কেমন আছে, কেমন দেখতে চাই দুই বাংলার নাট্য-সংস্কৃতির আদান-প্রদান।’ বিষয় উপস্থাপনে বিভাস চক্রবর্তী ও মামুনুর রশীদ। থাকছে নাট্যপ্রেমী ও নাট্যব্যক্তিত্বের সম্মাননাও।
অভিনেতা
তিনি নাচে যেমন পারদর্শী, তেমনই মার্শাল আর্টেও ভীষণ দক্ষ। পরিবারে তাঁর কেউ অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত নন। বাবা ব্যবসায়ী, মা একটি বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। তবুও ‘জীবনে কিছু করলে তা সিনেমা ওরিয়েন্টেডই হবে’ এই ভাবনা সেই খুদে বয়সেই তাঁর মাথায় জাঁকিয়ে বসেছিল। ক্লাস এইটে পড়াকালীন রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত ‘নীল রাজার দেশে’ ছবিতে ‘রাজা’র চরিত্রে প্রথম ব্রেক পান। এর পর ক্যারাটের ‘ব্ল্যাকবেল্ট’ধারী আদিত্য একাডেমির ছাত্র দেবদান ভৌমিক পড়াশোনায় মন দেন। সঙ্গে চলতে থাকে নাটকে অভিনয়। ২০১১-তে দেবদান আবার সুযোগ পান হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালিত ‘চলো পালটাই’ ছবিতে। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের রোলে অভিনয়ের মাধ্যমে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নাম পাকাপোক্ত করেন। ঠিক এর পরেই নিউমেরোলজি বিশ্বাসী দেবদান থেকে হয়ে যান আরিয়ান। ‘হ্যাঁ, ভাগ্যবিকাশ ঘটল। সৃজিৎদার ‘মিশর রহস্য’র সন্তুর জন্য ডাক পেলাম।’ বলছিলেন বছর পঁচিশের অভিনেতা। তার পর আর কে গুপ্তার ‘উইন্ডো কানেকশন’, দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সি’, রিঙ্গোর ‘মেসি’ এবং সম্প্রতি সৃজিৎ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত কাকাবাবু সিরিজে তাঁর দ্বিতীয় অভিনীত ছবি ‘ইয়েতি অভিযান’ দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন থিয়েটারে। ‘বুম্বা আঙ্কল আমার হার্ড ওয়ার্কের খুব প্রশংসা করেন। আর দর্শক পছন্দ করছেন সন্তুর অ্যাকশন।’ বলছিলেন অভিনেতা।