Avishikta

অভিষিক্তায় মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণে অনুমতি মিলল লালবাজারের

পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সিগন্যালিং ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৫১
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রথম পরীক্ষাতেই সসম্মানে পাশ করে গেল ই এম বাইপাসের অভিষিক্তা মোড়ের যান চলাচল ব্যবস্থা। তাই আগামী পাঁচ মাস ওই মোড়ের একটি অংশ আটকে মেট্রো রেলের স্তম্ভ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।

Advertisement


পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকে অভিষিক্তা মোড়ের একাংশ বন্ধ করে ই এম বাইপাসের উপরে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে মহড়ার ভিত্তিতে। আর তার জন্য বাইপাস থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে ঢোকা এবং বার হওয়ার মূল রাস্তা আটকে গিয়েছে। বিকল্প পথে গাড়ি চালিয়ে পুলিশের দাবি, সোমবার রাতে কিছু যানজট হলেও মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চলছে।


আজ, বুধবার পর্যন্ত ওই মহড়া চলবে। তবে তার আগেই পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, ওই মহড়ায় তারা খুশি। তাই রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের আবেদন অনুযায়ী আগামী দেড়শো দিনের জন্য ওই রাস্তা আটকে কাজ করার অনুমতি তাঁরা দিয়ে দিতে পারেন। ওই রাস্তা আটকে মেট্রোর দু’টি স্তম্ভ বসবে। একইসঙ্গে অভিষিক্তা মোড় লাগোয়া খালে বসানো হবে তিনটি স্তম্ভ। আর তার জন্যই পাঁচ মাস সময় লেগে যাবে বলে রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) পুলিশকে জানিয়েছে।

Advertisement


লালবাজার জানিয়েছে, ওই মোড় বন্ধ থাকায় এখন প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টর দিয়ে আসা গড়িয়া বা অজয়নগরমুখী গাড়ি ই এম বাইপাসে উঠে
রুবি মোড়ের দিকে গিয়ে মন্দিরপাড়ার কাছে নির্মীয়মাণ কবি সুকান্ত স্টেশনের কাছ দিয়ে ইউ টার্ন করে গড়িয়ার দিকে যাচ্ছে। আবার রুবি মোড়ের দিক থেকে এসে যে সব গাড়ি অভিষিক্তা মোড় থেকে ডান দিকে ঘুরে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ধরতে চাইছে, তাদের ই এম বাইপাসের কালিকাপুর সেতু
পার করে ইউ টার্ন নিয়ে সার্ভিস রোড দিয়ে যেতে হচ্ছে যাদবপুর থানার দিকে।


পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সিগন্যালিং ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। সকালে রুবি মোড়ের দিকে যাওয়া এবং
বিকেলে অজয়নগরের দিকে যাওয়া গাড়িকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। যা আগামী দিনেও থাকবে। একইসঙ্গে অতিরিক্তি অফিসার বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পুরো অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য। এতে অফিসের ব্যস্ত সময়ে অর্থাৎ সকাল এবং বিকেলে যখন গাড়ির সংখ্যা বেশি থাকে, সেই সময়ে উত্তর এবং দক্ষিণমুখী গাড়ির গতি বাধা পেলে অবস্থা সামাল দেওয়া যাচ্ছে বলে পুলিশের একাংশ জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন