মমতা বলতেই জমির ব্যবস্থা

লাল ফিতের ফাঁস নিয়ে সম্প্রতি বারাসতের প্রশাসনিক বৈঠকে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০২:৪২
Share:

—ফাইল চিত্র।

একাধিক বার আবেদন জানিয়েও যে কাজ হয়নি, মুখ্যমন্ত্রীর একটা প্রশাসনিক বৈঠকের পরেই রাতারাতি তা হয়ে গেল!

Advertisement

লাল ফিতের ফাঁস নিয়ে সম্প্রতি বারাসতের প্রশাসনিক বৈঠকে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই এলাকায় একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডের দাবি জানিয়েছিলেন কামারহাটির পুর প্রধান গোপাল সাহা।

সপ্তাহ পার হতে না হতেই জট কাটিয়ে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডের জমির ব্যবস্থা করে ফেলল জেলা প্রশাসন। প্রবর্তক জুটমিলের পাশে উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের পড়ে থাকা সাড়ে তিন একর জমিতে তৈরি হবে ওই স্ট্যান্ড। এ দিনই জেলা প্রশাসন জমি নিয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে। বাসস্ট্যান্ড তৈরির টাকা দেবে পরিবহণ দফতর।

Advertisement

মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার রাজেশ সিংহ, ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক পীযূষ গোস্বামী-সহ পদস্থ আধিকারিকেরা ওই জমি দেখতে যান। কামারহাটির পুর প্রধান গোপাল সাহা তাঁদের জমিটি ঘুরিয়ে দেখান। সেটি দীর্ঘ দিন খালি পড়ে আছে। সাড়ে তিন একর ওই জমিটি উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের। বিটি রোডের ধারে হওয়ায় ওই জমিতে বাসস্ট্যান্ড করলে সুবিধাই হবে বলে মনে করছেন কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।

কামারহাটিতে স্থায়ী বাসস্ট্যান্ডের দাবি ছিল দীর্ঘ দিনের। স্ট্যান্ড না থাকায় বিটি রোডের ধারেই বাসগুলি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে রাস্তায় যানজট যেমন হয়, তেমনই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে মাঝেমধ্যেই। বার বার দাবি জানানোর পরেও এত দিন সেই বাসস্ট্যান্ডের কোনও ব্যবস্থা করা যায়নি। পুর প্রধান বলেন, ‘‘আগে অনেক দরবার করেও কাজ হয়নি। তাই সুযোগ পেয়েই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম। তাতেই

কাজ হল।’’

ব্যারাকপুরের মহকুমা শাসক পীযূষবাবু বলেন, ‘‘অনেকটা জমি রয়েছে। ফলে ওখানে বাসের পাশাপাশি অটো রাখারও ব্যবস্থা করা হবে। বিটি রোডের যানজটও অনেক কমবে।’’ তিনি জানান, বিটি রোডের যানজট কমাতে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ করা হবে। ডানলপে একটি আন্ডারপাস তৈরি হচ্ছে। সেটি চালু হয়ে গেলে যান চলাচলে গতি বাড়বে। এ ছাড়া, বিটি রোডে বেশ কিছু জায়গায় ডিভাইডার কাটা রয়েছে। পুলিশ খতিয়ে দেখেছে, তার জন্যও যান-যন্ত্রণা বাড়ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনাও। ঠিক হয়েছে, বেশ কয়েকটি কাটা জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে জন্য পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন