ধস নামল কলেজ স্কোয়ারের পাশে

সম্প্রতি কলেজ স্কোয়ারে জলে ডুবে সাঁতারুর মৃত্যুর ঘটনায় পুলের নীচে থাকা বেআইনি কাঠামো ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই কাঠামোর নীচ থেকেই সাঁতারু কাজল দত্তের দেহ পাওয়া যায়। পুলিশের অনুমান, সেখানে আটকেই মত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০০:৪২
Share:

হঠাৎ ধস নামে পুলের পাশে। শনিবার, কলেজ স্কোয়ারে। নিজস্ব চিত্র

ধস নামল কলেজ স্কোয়ারের পুলের এক পাশে। শনিবার হঠাৎ এই ধস নামায় প্রশ্ন উঠেছে পুলের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়েও। সম্প্রতি কলেজ স্কোয়ারে জলে ডুবে সাঁতারুর মৃত্যুর ঘটনায় পুলের নীচে থাকা বেআইনি কাঠামো ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই কাঠামোর নীচ থেকেই সাঁতারু কাজল দত্তের দেহ পাওয়া যায়। পুলিশের অনুমান, সেখানে আটকেই মত্যু হয় তাঁর। এর পরেই প্রশ্ন উঠেছে, ওই বেআইনি নির্মাণ কে বা কারা করল। পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের ইঞ্জিনিয়ার-কর্মীদের নজরই বা এড়াল কি ভাবে!

Advertisement

অনুসন্ধান করতে পুলের জল বার করার সিদ্ধান্ত নেয় পুর প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে সে কাজ। ইতিমধ্যে পুলের সাড়ে তিন ফুট উচ্চতার জল বার করা হয়েছে। সে কাজ চলার মাঝেই শনিবার এই ধস নামে। মেয়র পারিষদ (পার্ক ও উদ্যান) দেবাশিস কুমার জানান, ধস যাতে আর না বাড়ে এ জন্য পুর ইঞ্জিনিয়ারেরা কাজ শুরু করেছেন।

কেন ধস নামল? পুরসভা সূত্রের খবর, যে জায়গায় ধস নেমেছে সেখানে বড় নিকাশি নালা আছে। তার পাশেই ময়লা ফেলার ঠেলা গাড়ি রাখা হতো। সেখানে খাবারে সন্ধানে আসা ইঁদুরের উৎপাত ছিলই। ইঁদুর ওই জায়গায় গর্ত করায় এই বিপত্তি বলে মনে করছেন পুরকর্মীরা।

Advertisement

এ দিকে পাম্প থেকে জল বার করায় পুলের জলস্তর কমতেই ভেসে উঠছে বাঁশ-কাঠের কাঠামো। যা পুলের নীচে বিপজ্জনক ভাবে ছিল। এক পুরকর্মী জানান, জল বার করার তিনটি পাম্প থাকলেও কাজ করছে দু’টি। সব জল বার করতে আরও চার-পাঁচ দিন লাগবে। পুলের নীচে বেশ কয়েকটি বেআইনি কাঠামো রয়েছে বলে অনুমান পুরকর্মীদের। পুরকর্তাদের দাবি, সব জল বার করলেই দুর্ঘটনার কারণের পাশাপাশি পরিষ্কার হয়ে যাবে বেআইনি কাঠামো গড়ায় কাদের দায় রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন