প্লাস্টিকে মুড়ে জঞ্জাল রাস্তায়, সচেতনতা কই

সার্ভিস রোডে অনেকটা জায়গা জুড়ে পড়ে গাছের পাতা থেকে শুরু করে অন্য আবর্জনার স্তূপ। কয়েক দিন পরে খবর পেয়ে সেগুলি সাফ করলেন পুরকর্মীরা। কয়েক মাস আগে বেলেঘাটা-ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস মোড় থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দিকে যাওয়ার পথে এমন ছবি দেখা গিয়েছিল। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সার্ভিস রোডে অনেকটা জায়গা জুড়ে পড়ে গাছের পাতা থেকে শুরু করে অন্য আবর্জনার স্তূপ। কয়েক দিন পরে খবর পেয়ে সেগুলি সাফ করলেন পুরকর্মীরা। কয়েক মাস আগে বেলেঘাটা-ইস্টার্ন মেট্রোপলিটন বাইপাস মোড় থেকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের দিকে যাওয়ার পথে এমন ছবি দেখা গিয়েছিল।

Advertisement

কেষ্টপুর খালপাড় এবং ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেল পাড় এলাকায় ফের ধরা পড়ল এমন ছবি। শুধু ওই এলাকা নয়, সল্টলেকের বহু রাস্তায় দৈনন্দিন সাফাইয়ের পরেও যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে আবর্জনা। অনেক ক্ষেত্রেই প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলা হচ্ছে জঞ্জাল।

কিন্তু কারা এ ভাবে আবর্জনা ফেলছেন? পুরসভার সাফ কথা, তাদের জানা নেই। যদিও তাদের দাবি, সচেতনতায় বারবার প্রচার চালানো হচ্ছে। রোজ বাড়ি বাড়ি ঘুরে আবর্জনা সংগ্রহের পাশাপাশি রাস্তার ধারে পড়ে থাকা জঞ্জাল সাফাই করেন পুরকর্মীরা। নির্মাণকাজ বা অন্য কারণে অতিরিক্ত আবর্জনা জমলে সে ক্ষেত্রেও ন্যূনতম মূল্যে পুরকর্মীরা সে সব সরিয়ে দেন। কিন্তু তার পরেও হুঁশ ফিরছে না বাসিন্দাদের একাংশের।

Advertisement

সেখানেই প্রশ্ন উঠছে পুরসভার নজরদারি নিয়ে। বাসিন্দাদের একাংশের প্রশ্ন, ওয়ার্ড কমিটি থেকে শুরু করে পুর প্রশাসনের অন্য পরিকাঠামো রয়েছে। ওয়ার্ড অ্যাসিস্ট্যান্টরা গোটা ওয়ার্ডে নজর রাখেন। সেখানে প্রতিদিন রাস্তার ধারে জঞ্জাল ফেলার ঘটনা ঘটলে কেন বিষয়টি নজরে পড়ছে না? বাসিন্দাদের দাবি, প্রয়োজনে আরও কড়া পদক্ষেপ করুক প্রশাসন। তিন নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা শুভেন্দু রায় বলেন, ‘‘ইস্টার্ন ড্রেনেজ চ্যানেলের পাড় বরাবর বিভিন্ন জায়গায় স্তূপীকৃত আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমরা নিজেরা সচেতন না হলে সমস্যা মিটবে না।’’

পুর প্রশাসনের একাংশের কথায়, দুপুরে, বিকেলে সল্টলেকের অনেক বাসিন্দা প্লাস্টিকে মুড়ে ফুটপাতের ধারে কিংবা বুলেভার্ডে আবর্জনা ফেলেন। কিন্তু কিছু ফাঁকা জমিতে বা রাস্তার ধারে যে পরিমাণ আবর্জনা জড়ো হচ্ছে তা এক-দু’জনের কাজ নয়। কিন্তু কারা এই কাজ করছেন, তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।

সল্টলেকের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ৫ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন অনিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘বার বার আবেদন করা হয়। কিন্তু তার পরেও আবর্জনা ফেলছেন কেউ কেউ। সচেতনতার প্রচার চালিয়েই এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।’’ বিধাননগর পুর প্রশাসন সূত্রের খবর, মূলত সল্টলেকের তিনটি সেক্টরের বিভিন্ন রাস্তার ধারে এমন ভাবে আবর্জনা জড়ো করা হচ্ছে। মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘জঞ্জাল অপসারণের পরিকাঠামো বাড়ানো হয়েছে। গোটা সল্টলেকে বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা ফেলতে ডাস্টবিনও বসানো রয়েছে। কিন্তু তার পরেও এমন ঘটনা ঘটছে। পুরকর্মীরা সেই আবর্জনা সরিয়ে দিচ্ছেন। সমস্যা কমাতে পর্যালোচনা করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন