হুমকিতে কাজ না হওয়ায় ‘মারধর’

বহুতল নির্মাণ করতে হলে ‘তোলা’ দিতে হবে। না হলে বন্ধ রাখতে হবে কাজ। কিন্তু এই হুমকির পরেও টাকা না মেলায় ওই বহুতল তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল বেলুড়ের এক কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবারের এই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বহুতলের প্রোমোটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৭:৫৫
Share:

বহুতল নির্মাণ করতে হলে ‘তোলা’ দিতে হবে। না হলে বন্ধ রাখতে হবে কাজ। কিন্তু এই হুমকির পরেও টাকা না মেলায় ওই বহুতল তৈরির কাজে যুক্ত কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল বেলুড়ের এক কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবারের এই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বহুতলের প্রোমোটার। তবে ঘটনাটি সাজানো বলেই দাবি ওই কাউন্সিলরের।

Advertisement

গোলাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই প্রোমোটার মহেশ সুরেকা এ দিন পুলিশকে জানান, হাওড়া পুরসভার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের গিরিশ ঘোষ রোডে ৫ কাঠা জমিতে একটি পাঁচতলা বহুতল তৈরি করছেন তিনি। ওই জমিটির মালিক স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সীমা ভৌমিকের বাবা গোষ্ঠবিহারী ভৌমিক। জমি নিয়ে উভয়পক্ষে চুক্তিও করা রয়েছে বলে দাবি মহেশবাবুর। কিন্তু পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, দিন সাতেক ধরে সীমাদেবীর ঘনিষ্ঠ দিবাকর চক্রবর্তী নামে এক যুবক লোকজন পাঠিয়ে বহুতল তৈরির কর্মীদের হুমকি দিচ্ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিবাকরের সঙ্গেই সীমাদেবীকে সব সময় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

মহেশবাবু বলেন, ‘‘আমার লোকেদের এসে বলা হচ্ছিল বহুতল তৈরি করতে হলে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আর টাকা না দিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে কাজ।’’ পুলিশের কাছে মহেশবাবুর অভিযোগ, তিনি টাকা দেবেন না জানাতেই সোমবার সকালে দিবাকর কয়েকজন যুবককে নিয়ে ওই নির্মাণস্থলে আসেন। ‘তোলা’ না দেওয়ার জন্য কাজ বন্ধ করে দিতে হবে হুমকি দিয়ে বহুতলের কর্মীদের মারধর করা হয়। বিষয়টি অস্বীকার করে সীমাদেবী দাবি করেন, ওই প্রোমোটারই তাঁদের ঠকাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘জমিটি আমাদের। ওই প্রোমোটারকে বহুতল তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন-চার বছর ধরে তিনি কিছুতেই আমাদের প্রাপ্য অংশ কতটা, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন না।’’ সীমাদেবীর দাবি, প্রাপ্য অংশ বুঝিয়ে দিতে বলাতেই মিথ্যে মামলা সাজানো হয়েছে। দিবাকর বলেন, ‘‘আমি কাউকে মারধর করিনি। টাকাও চাইতে যাইনি।’’

Advertisement

তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে সব খতিয়ে দেখতে বলেছি। দোষ প্রমাণিত হলে ওই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন