উদ্যোগের অভাবে থমকে বাজার তৈরি

রাস্তায় বসা বাজারের জন্য পথচারীদের অসুবিধা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের ‘কদমতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতি’র ব্যবসায়ীরাই। একটু একটু করে অর্থ জমিয়ে বাজার তৈরি করছিলেন। কিন্তু মাঝপথে থমকে গিয়েছে সেই কাজ। অভিযোগ, বাজার সমিতির নেতৃত্বের উদ্যোগের অভাবেই এই অবস্থা।

Advertisement

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৫ ০১:০৭
Share:

সেই চেনা ছবি। ছবি: সুদীপ ঘোষ।

রাস্তায় বসা বাজারের জন্য পথচারীদের অসুবিধা মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মধ্যমগ্রামের ‘কদমতলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতি’র ব্যবসায়ীরাই। একটু একটু করে অর্থ জমিয়ে বাজার তৈরি করছিলেন। কিন্তু মাঝপথে থমকে গিয়েছে সেই কাজ। অভিযোগ, বাজার সমিতির নেতৃত্বের উদ্যোগের অভাবেই এই অবস্থা।

Advertisement

নেতাজি সুভাষ রোড এবং শ্রীনগর যাওয়ার রাস্তার দু’পাশে প্রতি দিনই বসে কদমতলা বাজার। প্রায় শ’খানেক ব্যবসায়ী কাঁচা সব্জি, মাছ, মাংস-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে অস্থায়ী দোকানে বসেন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হওয়া বাজারটি চলে দুপুর সাড়ে বারোটা পর্যন্ত। ওই সময়ে যাতায়াতের প্রবল সমস্যা হয়। তৈরি হয় যানজট। এর থেকে মুক্তি পেতেই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন রাস্তায় বসা ওই বাজারের ব্যবসায়ীরাই।

দৈনিক ন্যূনতম দু’টাকা থেকে শুরু করে ২০ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করে তহবিল তৈরি করেন তাঁরা। সেই অর্থে ১৯৯৬-এ রাস্তার ধারে চার কাঠা জমি কেনে সমিতি। সেখানেই শুরু হয়েছিল চার তলা বাজার তৈরির কাজ। ঠিক হয়েছিল নীচের দু’টি তলায় কাঁচা সব্জি, মাছ, মাংস-সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি থাকবে জামাকাপড় ও বৈদ্যুতিন সামগ্রী সারাইয়ের দোকান। উপরের দু’টি তলা অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হবে। এক তলার ছাদ ঢালাই হয়ে গিয়েছিল চার বছর আগেই। কিন্তু তার পরেই আর কাজ এগোয়নি।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিযোগ, সমিতির উদ্যোগের অভাবই কাজ আটকানোর মূল কারণ। ব্যবসায়ীদের থেকে অর্থ সংগ্রহও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমিতির বাইরের ব্যবসায়ীরাও এখন কদমতলার বাজারে বসছেন বলে অভিযোগ করছেন ব্যবসায়ীরাই। বাজার সমিতির বর্তমান সম্পাদক মানু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘ব্যবসায়ী, প্রশাসন ও সাধারণ মানুষ সকলের পক্ষেই এটি একটি উৎসাহব্যঞ্জক প্রকল্প ছিল। এ ধরনের প্রকল্পের কাজ আটকে যাওয়া উচিত নয়। প্রয়োজন মতো পুনরায় সকলকে সংগঠিত করে কাজ শুরু করতে উদ্যোগী হতে হবে। ওখানে বাইরের ব্যবসায়ীদের ঢোকাও বাঞ্ছনীয় নয়। সে ব্যাপারেও কড়া নজর রাখা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন