Majherhat Bridge

মাঝেরহাট সেতু আগামী সপ্তাহেই চালুর পথে রাজ্য

সেতুর উদ্বোধনের দিন হিসেবে আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে জল্পনা চললেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, কাল, সোমবারই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০৩
Share:

তৈরি: মাঝেরহাট সেতুর কাজ প্রায় শেষের মুখে। ফাইল চিত্র।

আর দেরি না করে আগামী সপ্তাহেই মাঝেরহাট সেতু উদ্বোধন করে ফেলতে চায় রাজ্য সরকার। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ওই সেতুর ব্যাপারে রেলের তরফে চূড়ান্ত ছাড়পত্র সম্প্রতি হাতে পেয়েছে রাজ্য। তাই যান চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দিতে সরকারের সামনে আর কোনও বাধা রইল না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্ভবত সেতুটির উদ্বোধন করবেন।

Advertisement

নতুন করে তৈরি হওয়া মাঝেরহাট সেতুর ভার বহনের ক্ষমতা পরীক্ষার রিপোর্ট গত মঙ্গলবারই পূর্ব রেলের আঞ্চলিক সেফটি কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছিল পূর্ত দফতর। সেই রিপোর্ট যাচাই করে রেল চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিলে তবেই সেতু উদ্বোধনের দিন ঠিক করতে পারত সরকার। পূর্ত দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই রেলের সেই ছাড়পত্র সরকারের হাতে এসে পৌঁছেছে। বস্তুত, প্রায় সাড়ে ছ’শো মিটার লম্বা সেতুটি ৩৮৫ টন ভার বহনে সক্ষম। সেতুর মধ্যবর্তী ২২৭ মিটার দীর্ঘ অংশ রয়েছে রেললাইনের উপরে। ওই অংশটি ধরে রেখেছে ৮৪টি কেব্‌ল। সেই কারণে কেব্‌ল, সেতুর নিজস্ব শক্তি, স্থির এবং চলমান বিভিন্ন ওজনের যানবাহনের কম্পনে সেই সব কেব্‌লের সঙ্কোচন ও প্রসারণ-সহ বিভিন্ন বিষয় আলাদা করে পরীক্ষা করেন রাজ্যের সেতু বিশেষজ্ঞেরা। ভার বহনের ক্ষমতার পরীক্ষায় সেতু পাশ করে গেলেও রেলের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করতেই হত রাজ্যকে। সূত্রের দাবি, সেতুটির কোনও অংশ নিয়েই আর কোনও আপত্তির যে জায়গা নেই, রেলের সেই বার্তা পাওয়ায় আগামী সপ্তাহেই উদ্বোধনের কাজ সেরে ফেলতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নবান্ন।

সেতুর উদ্বোধনের দিন হিসেবে আগামী সপ্তাহের বৃহস্পতিবার নিয়ে প্রশাসনের অন্দরে জল্পনা চললেও সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, কাল, সোমবারই দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে।২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মাঝেরহাট সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছিল। তার পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে সেতু তৈরি করে

Advertisement

ফেলার লক্ষ্যমাত্রা রাজ্য স্থির করে দিলেও সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করা যায়নি। এ নিয়ে রেল-রাজ্যের মধ্যে চাপান-উতোরও কিছু কম হয়নি। নকশা ও নির্মাণ-সহ একাধিক বিষয়ে ছাড়পত্র পেতে বেশ দেরি হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের অভিযোগ ছিল রেলের বিরুদ্ধে। আবার রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, খামতি ছিল রাজ্যের তরফেই। কিন্তু এত সব কিছুর পরেও চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ শেষ হতে এবং সেতু চালুর ব্যাপারে ছাড়পত্র পেতে আর কোনও জলঘোলা হয়নি। বরং শেষ পর্যায়ের এই জটিল কাজ অনেক দ্রুত শেষ করা গিয়েছে বলে দাবি পূর্ত-কর্তাদের অনেকের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন