Kolkata

বড়বাজারে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২৫ ইঞ্জিন

সোমবার রাতে বড়বাজারে ঘিঞ্জি গলির একটি বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়ির ছাদে আটকে পড়েন বাড়ির কিছু বাসিন্দা। আগুন লাগার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করা গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:৪২
Share:

লেলিহান। সোমবার, বড়বাজারের সেই বাড়ি। ছবি: রণজিৎ নন্দী

সোমবার রাতে বড়বাজারে ঘিঞ্জি গলির একটি বাড়িতে আগুন লাগে। বাড়ির ছাদে আটকে পড়েন বাড়ির কিছু বাসিন্দা। আগুন লাগার প্রায় দু’ঘণ্টা পরে আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করা গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। দমকলের ২৫টি ইঞ্জিন গিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে গিয়েছে। গভীর রাতের খবর, আগুন তখনও জ্বলছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত দমকলকর্মীদের মতে, প্রচণ্ড ধোঁয়া ও আগুনের তাপের জন্য আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করতেও অনেক দেরি হয়েছে।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজার থানা এলাকার ৩ আমড়াতলা লেনে। জায়গাটি বাগড়ি মার্কেটের খুব কাছে। ঘিঞ্জি ওই এলাকার বাড়িতে আগুন লাগার ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আশপাশের বাড়ি থেকেও লোকজন সরতে শুরু করে দেন। দমকলে খবর দেওয়ার পরে, স্থানীয় বাসিন্দারা নিজেরাই আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন। কিন্তু, পুলিশ জানিয়েছে, বহু পুরনো তিনতলা ওই বাড়ির একতলা ও দোতলায় প্লাস্টিক ও জরির ছোট ছোট গুদাম থাকায় সেই আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে তা স্থানীয় মানুষদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি।

ওই বাড়িটিরই তিনতলায় ৪-৫টি পরিবারের বাস। আগুন লাগার পরে ওই বাসিন্দাদের অনেকেই নীচে নেমে আসেন। তবে, অনেকেই ছাদে উঠে যান। সেখানে মহিলা ও শিশুও ছিল। দমকলের কর্মীরা জানিয়েছেন, এই বাড়ির মূল সিঁড়িটি কাঠের তৈরি। আগুনে সেই সিঁড়িটির আংশিক পুড়ে যায়। ফলে, ছাদে আটকে পড়া বাসিন্দারা সেই সিঁড়ি ব্যবহার করে নীচে নেমে আসতে পারেননি। পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকলকর্মীরা পাশের বাড়ি থেকে মই নিয়ে তার সাহায্যে পিছন দিক দিয়ে আটকে পড়া বাসিন্দাদের নামিয়ে আনেন।

Advertisement

ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।

গলিটি ছোট এবং ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিন নিয়ে ওই গলিতে ঢোকা যায়নি। দূর থেকে লম্বা পাইপ দিয়ে জল ছেটানোর কাজ করতে হয়েছে। বহুতলের উপরের দিকে আটকে পড়া কাউকে উদ্ধারের জন্য দমকলের কাছে অত্যাধুনিক ল্যাডার রয়েছে। কিন্তু, এই গলিতে সেই ল্যাডার লাগানো গাড়ি ঢুকতে পারবে না বলে তাও ব্যবহার করা যায়নি।

আরও পড়ুন:

ছুটির বিকেলে গুদামে আগুন, আতঙ্ক

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement