হোটেল থেকে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে আসছেন এক ব্যক্তি। রাস্তায় বেরোতেই তাঁর পথ আটকালেন আর এক যুবক। দু’জনের মধ্যে শুরু হল তুমুল বচসা। চিৎকার আর লোকজনের ভিড় দেখে হঠাৎ সেখানে হাজির হলেন টহলরত কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁরাই ওই দু’জনকে নিয়ে যান থানায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যিনি হোটেল থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসছিলেন, তিনি ব্যবসার নামে অন্য জনের থেকে টাকা হাতিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে মহাত্মা গাঁধী রোডে ঘটনাটি ঘটে। প্রতারণার অভিযোগে সুব্রত মোদক নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে বুধবার থেকে সে পুলিশি হেফাজতে। পুলিশের দাবি, ফেসবুকে মোবাইল ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে অভিযোগকারী-সহ একাধিক ব্যক্তির থেকে টাকা নিয়েছে সুব্রত।
পুলিশ জানায়, সুব্রত ফেসবুকে নিজেকে মোবাইলের পাইকারি ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে বন্ধুত্ব করত বেকারদের সঙ্গে। কথার ফাঁকেই টোপ দিত, পাইকারি দামে মোবাইল কিনে নিজের এলাকায় বিক্রি করার।
কুলটির বাসিন্দা অভিজিৎ রায়ের অভিযোগ, তিনি সুব্রতর প্রস্তাবে রাজি হয়ে অক্টোবরে প্রায় ৬০০০ টাকা একটি অ্যাকাউন্টে জমা দেন। কিন্তু মোবাইল না আসায় ফের সুব্রতর সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে বলে, দাম বেড়েছে, আরও টাকা লাগবে। সেই টাকাও দেন অভিজিৎ। তখন অভিজিৎকে কলকাতায় ডাকে সুব্রত।
অভিজিতের দাবি, মঙ্গলবার শিয়ালদহে সুব্রতর সঙ্গে দেখা করলে সে জানায়, মোবাইল আসতে দেরি হচ্ছে। পুলিশের দাবি, সে দিন থাকার জন্য সুব্রত নিজের নামে একটি হোটেল অভিজিতের জন্য বুক করে দেয় এবং সেখানে দু’জনে রাতের খাওয়া সারে। পরে সুব্রত দাবি করে, মোবাইল এসেছে। তবে অভিজিতকে প্রায় ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। অভিজিৎ টাকা দিলে সুব্রত হোটেল থেকে বেরিয়ে যায়। এতে সন্দেহ হওয়ায় তার পিছু নেন অভিজিৎ। শেষমেশ হোটেলের সামনেই তাকে ধরে ফেলেন।