Man Arrested

গয়না কিনতে গিয়ে জাল নোট দিয়ে গ্রেফতার

নোটগুলি দেখেই সন্দেহ হয় সঞ্জয়বাবুর। তত ক্ষণে বাইকে চড়ে রওনা দিয়েছে মুন্না। পিছু ধাওয়া করেন সঞ্জয়বাবুও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২০ ০৪:০৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

গয়না কিনে কড়ায়-গণ্ডায় দাম মিটিয়ে দিয়েছিল যুবক খদ্দের। কিন্তু, আচমকা সেই নোটের গোছা বদলে অন্য নোট দিয়ে দোকান থেকে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। তার পরেই বাতিস্তম্ভে বেঁধে শুরু হয় গণপ্রহার। শেষ পর্যন্ত ওই যুবককে উদ্ধার করে বারাসত থানার পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে।

Advertisement

বারাসত থানার পুলিশ জানিয়েছে, মুন্না খান নামের ওই যুবকের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। পুলিশ জানিয়েছে, মুন্নার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। তার বাইকটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জাল নোট সে কোথা থেকে পেল, মুন্নাকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ মুন্না বারাসতের নবপল্লির সার্কুলার রোডের একটি গয়নার দোকানে এসে সোনার দুল কিনতে চায়। দোকানের মালিক সঞ্জয় মজুমদার নিজেই গয়না দেখাতে শুরু করেন। বেশ কয়েকটি বাক্সের গয়না দেখে শেষ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৫০০ টাকার এক জোড়া দুল পছন্দ করে মুন্না। ৫০০ টাকার নোটে মোট ২৯ হাজার টাকা দেয় সে। টাকা গুনে নিয়ে ৫০০ টাকার অতিরিক্ত নোটটি মুন্নাকে ফেরত দেন সঞ্জয়বাবু। তিনি যখন গয়নার বাক্সগুলি তুলে রাখছিলেন, তখনই টেবিলে অন্য একটি ৫০০ টাকার নোটের তাড়া রেখে আগের নোটগুলি তুলে নিয়ে পলকের মধ্যে দোকান ছাড়ে মুন্না।

Advertisement

নোটগুলি দেখেই সন্দেহ হয় সঞ্জয়বাবুর। তত ক্ষণে বাইকে চড়ে রওনা দিয়েছে মুন্না। পিছু ধাওয়া করেন সঞ্জয়বাবুও। তাঁর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকেরাও তাড়া করেন। কিছু দূর যাওয়ার পরে ধরা পড়ে যায় মুন্না। তার পরে লোকজন দড়ি দিয়ে বাতিস্তম্ভে বেঁধে ফেলে তাকে। পুলিশকে কিছু না জানিয়েই শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে দ্রুত পৌঁছে মুন্নাকে উদ্ধার করে বারাসত থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, মুন্নার কাছ থেকে আরও ৬০টি ৫০০ টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকায় কখনও সখনও জাল নোট মিললেও জেলা সদরে সাম্প্রতিক অতীতে এত বেশি সংখ্যক জাল নোটের সন্ধান মেলেনি। মুন্না কোনও জাল নোট চক্রের সদস্য কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এর আগে সে এই ধরনের কাজ করেছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সোনারপুর থানায় মুন্নার নামে কোনও অপরাধের খতিয়ান আছে কি না, খোঁজ চলছে তারও। মুন্নার কাছ থেকে যে বাইকটি মিলেছে, সেটির রেজিস্ট্রেশন অন্যের নামে। তার মালিকের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন