—প্রতীকী ছবি।
স্বামী ও ছেলের সঙ্গে রাগারাগি করে ঘরের দরজা আটকে বসেছিলেন প্রৌঢ়া। অভিযোগ, তা দেখে আরও রেগে জিনিসপত্র ভাঙচুর করে মাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছিল ছেলে।
শনিবার সকালে এই ঘটনার পরে ছেলেকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল দেগঙ্গা থানার পুলিশ। খবর পেয়ে তাকে থানা থেকে বার করতে ছুটে গেলেন মা। পুলিশের কাছে কেঁদেকেটে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন তিনিই। যা দেখে হতবাক এলাকার মানুষ, পুলিশ। সব দেখে নিজের ভুল বুঝে শেষে মাকে ধরে কেঁদে ফেলল ছেলেও।
পুলিশ জানিয়েছে, ছেলের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে মা ছেলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আলমগীর মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। কিন্তু এর পর থেকেই কাঁদতে থাকেন মা হাফিজাবিবি। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গোলাম ফরিদ বলেন, ‘‘আমি যেতেই উনি ছেলেকে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর করতে থাকেন। বলতে থাকেন, আমি ক্ষমা না করে ভুল করেছি।’’ শেষে নিজেই থানায় গিয়ে মা জানান, ছেলেকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি।
এ দিকে, বাবা-মায়ের উপরে এমন অত্যাচারে বারবার অভিযোগে চিন্তিত পুলিশ। কিছু দিন আগেই অশোকনগরে মাকে মিষ্টি খাওয়ানোয় অপরাধে বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করেছিল ছেলে। পরে সেই বাবাই ছেলেকে ক্ষমা করে পুলিশের কাছে গিয়ে ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।
একই ধরনের ঘটনা বনগাঁয় দেখা গিয়েছিল ক’দিন আগে। কালুপুরে জমি লিখে দেওয়ার জন্য মৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ ওঠে ছেলের বিরুদ্ধে। পরে গ্রেফতার হওয়া ছেলেকে ছাড়াতে বনগাঁ আদালত চত্বরে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বৃদ্ধা। এমন ঘটেছে বারাসতেও। এ দিন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বৃদ্ধ বাবা-মায়ের উপরে ছেলেমেয়েদের অত্যাচারের অভিযোগ এসেই চলেছে। এটা চিন্তার।’’