মনুয়া মজুমদার
একটি খুন আর তার আগে-পরের সমস্ত কিছু ঘটেছে একটি ঘরের ভিতরেই। মৃতদেহ উদ্ধার থেকে শুরু করে যা দিয়ে খুন করা হয়েছে, সে সব সূত্রই মজুদ ছিল সেখানে। খুনের পরেই সেই ঘরটি ‘সিল’ করে দিয়েছিল পুলিশ। বারাসতে অনুপম সিংহ হত্যাকাণ্ডের বিচার চলাকালীন বৃহস্পতিবার সেই অকুস্থলটিই এক বার ঘুরে দেখার আর্জি জানালেন তাঁর স্ত্রী মনুয়া মজুমদার ও স্ত্রীর প্রেমিক অজিত দাসের আইনজীবীরা। তবে এই আর্জির রায় পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিচারক।
এ দিন বারাসত আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের চতুর্থ দায়রা বিচারক বৈষ্ণব সরকারের এজলাসে অনুপম সিংহ হত্যা মামলার শুনানি ছিল। আদালতে হাজির ছিলেন মনুয়া ও অজিত। সেখানেই অনুপম খুনের ঘটনাস্থল এক বার ঘুরে দেখার আবেদন জানান মনুয়ার আইনজীবী সুব্রত বসু। আদালতের কাছে এ দিন মনুয়া ও অজিতের আইনজীবীরা এমনও আবেদন করেন, পুলিশি নিরাপত্তা নিয়েই তাঁরা যেন অকুস্থল পরিদর্শন করতে পারেন। সেই আর্জির বিরোধীতা করেন সরকারি আইনজীবী। উভয় পক্ষের শুনানির শেষে বিচারক রায় দান মলতুবি রাখেন।
এই মামলায় সরকার পক্ষের কৌঁসুলি বিপ্লব রায় জানান, ‘‘এই আবেদনের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। আসলে মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করা ছাড়া ওই আইনজীবীদের কোনও উদ্দেশ্য নেই।’’
কেন? কারণ, এ দিন তদন্তকারী অফিসারেরাই জানিয়েছেন, অনুপম যেখানে খুন হয়েছিলেন হৃদয়পুরের সেই বাড়িটি এখন আর তালাবন্ধ নেই। কারণ, বাড়িটির মালিক অনুপমের কাকা এখনও জীবিত আছেন। সেখানে যাওয়ার সব রাস্তা ও ব্যাবহার সামগ্রী যখন ইচ্ছেই দেখা যায়। তার জন্য আলাদা করে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। এর পরেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মনুয়া ও অজিতকে আদালত থেকে জেলে নিয়ে যায় পুলিশ।