Dengue

মশার দায় মেট্রোর ঘাড়ে

রবিবার পুরভবনে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘সল্টলেক এবং মহিষবাথানে মেট্রোর দু’টি প্রকল্প এলাকা রয়েছে। ওই জায়গাগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হবে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭ ০১:৩৯
Share:

মশা দমনে হাত লাগালেন বাসিন্দারাই। বৃহস্পতিবার, বাগুইআটিতে। ছবি: শৌভিক দে

মেট্রো প্রকল্প এলাকা ঘিরেই এখন আতঙ্ক বিধাননগরে। কারণ সেখানেই তৈরি হয়েছে মশার আঁতুড়ঘর।

Advertisement

শুধু বাসিন্দাদের নয়, এমন অভিযোগ খোদ বিধাননগর পুর প্রশাসনের। এর জন্য পদক্ষেপ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মুখ্যসচিব এমনকী, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছেও চিঠি পাঠাতে চলেছেন বিধাননগরের পুরকর্তারা।

রবিবার পুরভবনে এক জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, ‘‘সল্টলেক এবং মহিষবাথানে মেট্রোর দু’টি প্রকল্প এলাকা রয়েছে। ওই জায়গাগুলির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হবে।’’

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, সল্টলেকে ১ নম্বর সেক্টরে বিধান আবাসনের পিছনে এবং মহিষবাথানে মেট্রোর দু’টি বড় প্রকল্প এলাকা আছে। পুর প্রশাসনের একাংশের দাবি, সেখানে মশার আঁতুড়ঘর তৈরি হয়েছে। দ্রুত সেখানে মশা নিধনের ব্যবস্থা না নিলে সমস্যা আরও বাড়বে। মেট্রো সূত্রের বক্তব্য, অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু মেট্রো প্রকল্প এলাকায় ব্যবস্থা নিলেই কি মশার দাপট কমে যাবে বিধাননগর পুর এলাকায়? তা হোক বা না হোক, মশাবাহিত রোগের দাপট নিয়ে পুরসভা যে উদ্বিগ্ন, তা রবিবারের বৈঠকের সিদ্ধান্ত থেকেই স্পষ্ট। ইতিমধ্যেই ওই পুর এলাকার ৪১টি ওয়ার্ডে ৫০০-র বেশি আবাসিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা চার হলেও বেসরকারি সূত্র বলছে সংখ্যাটা ১০।

এই অবস্থায় এ দিন জরুরি বৈঠকে বসেন পুরকর্তারা। সূত্রের খবর, পুর প্রশাসনের ছ’জন উচ্চপদস্থ আধিকারিককে ছ’টি বরোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বরোর স্বাস্থ্য দফতর, জঞ্জাল অপসারণ, ঝোপজঙ্গল সাফাই-সহ বিভিন্ন দফতরকে একত্রে নিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করবেন। পুরসভার এক শীর্ষ কর্তার কথায়, যাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাঁরা বিভিন্ন প্রকল্প কার্যকর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। খোদ মেয়র বলেন, ‘‘সোমবার থেকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ শুরু করা হবে।’’ তবে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসনের ঘুম ভাঙতে বড়ই দেরি হল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন