সিগন্যালে গোলমাল, দরজা বন্ধ না হওয়া থেকে শুরু করে লাইনে ঝাঁপ— যে কোনও সমস্যাতেই মাঝেমধ্যে মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। কিন্তু প্রতিটি দফতরের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে পারলে ওই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন মেট্রোর নব নিযুক্ত জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বেশ চৌবে।
সোমবার জিএম মেট্রোর কন্ট্রোল রুম পরিদর্শন করেন তিনি। গত মাসে মোট কত বার নানা ঘটনায় মেট্রো আটকে গিয়েছে, সেখানে তা জানতে চান জিএম। মেট্রোর তরফে তাঁকে গোলমালের রেকর্ড দেখানো হয়। দেখা যায়, এপ্রিল মাসে মোট চার বার মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই কারণ সামান্য। সমস্যাগুলির কারণ শুনে তিনি অফিসার এবং কর্মীদের বলেন, ‘‘এ সব সামান্য সমস্যা। মেরামতির কাজে সমন্বয় বাড়ালেই সেগুলির দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’’
এই মেট্রোতেই কর্ম জীবনের শুরুতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন বিশ্বেশবাবু। তখন মেট্রো চলাচল শুরুও হয়নি। তাই মেট্রোর সর্বোচ্চ পদে যোগদান করে প্রথমেই সময়ে পরিষেবা দেওয়ার বিষয়ে জোর দিতে চান বলে জানান তিনি। বলেন, ‘‘মেট্রো সময় মতোই চলে। তবে এটা বজায় রাখতে পারলে যাত্রীরা মেট্রোকে আরও আপন করে নেবেন।’’
রাজ্য সরকার বললেও মেট্রোর প্রকল্পগুলিতে জমি অধিগ্রহণের যে সমস্যা এখনও সম্পূর্ণ মেটেনি, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন জিএম। প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘জমি অধিগ্রহণের সমস্যার জন্য মেট্রোর পাঁচটি প্রকল্পের কাজ এখনও কিছু
কিছু জায়গায় থমকে। তবে তাড়াতাড়ি ওই কাজ শেষ করে ফেলতে চেষ্টা করা হচ্ছে।’’