প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা।—নিজস্ব চিত্র।
নতুন বছরের প্রথম সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে প্রায় ৪৫ মিনিট আপ ও ডাউন লাইনে ব্যাহত হল মেট্রো পরিষেবা।
মঙ্গলবার, সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ রবীন্দ্র সদন স্টেশনে নিউ গড়িয়ামুখী ডাউন লাইনের তৃতীয় রেলে আচমকা বিদ্যুতের স্ফুলিঙ্গ দেখতে পান মেট্রোকর্মীরা। বিপদের আশঙ্কায় সঙ্গে সঙ্গে ওই লাইনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবীন্দ্র সদন থেকে যতীন দাস পার্ক পর্যন্ত মেট্রোর পথে থার্ড লাইনে ত্রুটি খুঁজতে বেরোন কর্মীরা। সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ফের পরিষেবা শুরু হয়।
এ জন্য প্রায় ৪৫ মিনিট ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। যার প্রভাব পড়ে সমগ্র মেট্রো পরিষেবায়। এর জেরে ডাউন লাইনে চাঁদনি চক, এসপ্লানেড, ময়দান, পার্ক স্ট্রিট-সহ বিভিন্ন স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার
স্বার্থেই সাময়িক ভাবে পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এর প্রভাব পড়েছিল আপ লাইনেও। বিভিন্ন স্টেশনে পর্যায়ক্রমে একাধিক ট্রেনকে পাঁচ-দশ মিনিট করে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ মেট্রো চলাচল শুরু হলেও তা সামাল দিতে রাত হয়ে যায়। ভিড়ের সময়ে আচমকা মেট্রো বন্ধ হওয়ায় এসপ্লানেড
থেকে রবীন্দ্র সদনের মধ্যে একাধিক স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় জমে যায়। রবীন্দ্র সদন স্টেশনের এক্সাইডের মোড়ে দিকে টিকিট কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় কার্যত প্ল্যাটফর্মের প্রবেশপথ রুদ্ধ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে। অভিযোগ, অনেকে যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে না পেরে বাস ধরতে ছোটেন। মেট্রো বিভ্রাটের জেরে জওহরলাল নেহরু রোডেও সাময়িক যানজট দেখা দেয়।
মেট্রো সূত্রের খবর, গত বছর বৃষ্টির জল চুঁইয়ে পড়ে রবীন্দ্র সদন মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বিদ্যুতের সাবস্টেশনটি পুড়ে গিয়েছিল। তার পর থেকে যতীন দাস পার্ক মেট্রোর সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত মেট্রো পথে পরিষেবা সচল রাখা হয়। রবীন্দ্র সদনের সাবস্টেশনটি অচল থাকায় ওই মেট্রো পথে প্রায়ই তৃতীয় লাইনে সমস্যা দেখা দিচ্ছে বলে মেট্রো কর্মীদের অভিযোগ।