ব্যস্ত সময়ে আবার মেট্রোয় বিভ্রাট। দরজা বন্ধ না-হওয়ায় শোভাবাজারে প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে দমদমগামী মেট্রো। নামিয়ে দেওয়া হল যাত্রীদেরও। এই ঘটনায় মেট্রো স্টেশনে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন অফিসফেরত যাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। দমদমগামী মেট্রোটি শোভাবাজার স্টেশন ছাড়ার সময় দেখা যায়, দরজা বন্ধ হচ্ছে না! দীর্ঘ ক্ষণ পরেও মেট্রোর দরজা বন্ধ না হওয়ায় টেকনিশিয়ানদের ডাকা হয়। তাঁরা এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। কিন্তু সুরাহা হয়নি। শেষমেশ বন্ধই করা গেল না মেট্রোর দরজা। কিছু ক্ষণ পরে মেট্রো থেকে নেমে যেতে বলা হয় যাত্রীদের।
ব্যস্ত সময়ে এই ঘটনা ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। সিদ্ধার্থ দাস বলেন, ‘‘রোজ রোজ এই ব্লু লাইনে কিছু না কিছু ঘটেই চলেছে! এই মেট্রোয় কি রক্ষণাবেক্ষণ একেবারেই হয় না?’’ সোমেন চৌধুরী নামে আর এক যাত্রী বলেন, ‘‘দমদমে নেমে ট্রেন ধরার ছিল। পারলাম না!’’
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানান, প্রবল ভিড়ের কারণে মেট্রোর দরজা বন্ধ হচ্ছিল না। স্বয়ংক্রিয় ভাবে তো বন্ধ হয়ইনি। ‘ম্যানুয়ালি’ও করা যায়নি। পরে যাত্রীদের নামিয়ে মেট্রোটি শেডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিষেবা স্বাভাবিক বলেই দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
যাত্রীদের বক্তব্য, খারাপ হয়ে যাওয়া মেট্রোটি শেডে পাঠিয়ে দেওয়ার পরে অনেকগুলি মেট্রো এসেছে ঠিকই। কিন্তু প্রবল ভিড়ের কারণে বহু যাত্রীই তাতে উঠতে পারেননি। স্নেহা সাহা বলেন, ‘‘মাঝে মাঝে ট্রেন বাতিল করে দিচ্ছে। কেন? এর জন্য তো আরও বেশি ভিড় হয়ে যাচ্ছে। আমরা তো সময় বাঁচানোর জন্যই মেট্রোতে যাই। ৭টা ২০ মিনিটে একটা মেট্রো এল। ভিড়ের কারণে সেটায় উঠতে পারলাম না। দ্বিতীয় যে মেট্রোটা এল, সেটাতেও ওঠা গেল না। এত ভিড়!’’
অভিষেক চক্রবর্তী নামে এক যাত্রী বলেন, ‘‘তৃতীয় যে মেট্রোটি এসেছিল, সেটিরও দরজা স্বয়ংক্রিয় ভাবে বন্ধ হয়নি। পরে টেকনিশিয়ানরা এসে ম্যানুয়ালি সেটি বন্ধ করেন।’’