বৌবাজারের একটি বাড়িতে চাঙড় ভেঙে পড়ার পরে চলছে ঠেকনা বসানোর কাজ। ছবি: রণজিৎ নন্দী।
বৌবাজারে একটি পুরনো বাড়ির ক্ষতি হওয়ার পিছনে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ কিংবা সুড়ঙ্গে মেট্রো চলাচলের জেরে তৈরি হওয়া কম্পন কারণ নয়, এমনটাইজানালেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গত রবিবার দুপুরে বৌবাজারের মদন দত্ত লেন এবং বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের সংযোগস্থলে থাকা একটি তেতলা বাড়ির একতলার একাংশ থেকে আচমকা চাঙড় খসে পড়ে। ওই ঘটনায় পাপ্পু সিংহ নামে বছর ষাটের এক ব্যক্তি আহত হন। তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেছেড়ে দেওয়া হয়। ১০৭ নম্বর বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের ঠিকানায় ওই বাড়িটির একতলার সিলিং থেকে চাঙড় খসে পড়ার কারণ হিসাবে স্থানীয়দের একাংশ মেট্রোর কাজ এবং সুড়ঙ্গে মেট্রো চলাচলেরফলে তৈরি হওয়া কম্পনকে দায়ী করেন। ঘটনার পরে মেট্রো রেলের আধিকারিকেরা বাড়িটি পরিদর্শন করেন। নতুন করেবাড়ির ক্ষতি এড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত অংশে লোহার খুঁটি ঠেকনা হিসেবে বসানো হয়।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই বাড়িটি ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো। চুন, সুরকি এবং পোড়া মাটির টালি ব্যবহার করে তৈরি বাড়িটিতেদীর্ঘকাল কোনও সংস্কারের কাজ হয়নি। মেট্রোর প্রযুক্তিবিদেরা জীর্ণ বাড়িটির ক্ষতি হওয়ার কারণ হিসেবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকেইদুষেছেন। স্থানীয় সূত্রে খোঁজ নিয়ে তাঁরা জেনেছেন, মেট্রোর নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার আগেও বাড়িটি জীর্ণ অবস্থাতেই ছিল। মেট্রোর নির্মাণ বছর দেড়েক আগেই মিটেছে।তার পরে ট্রেন চলাচলও শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ওই বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি।
মেট্রোর অভিযোগ, বাড়ির বাসিন্দা অথবা মালিকেরা দীর্ঘদিন বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ করেননি। সুড়ঙ্গ এলাকায় রক্ষণাবেক্ষণ করার পরেও আচমকা ক্ষতি হয়েছে, এমন শ্রেণিতে সংশ্লিষ্ট বাড়িটি পড়ছে না বলে দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। ফলে, এলাকাবাসীদের একাংশ ক্ষতিপূরণের দাবি জানালেও মেট্রো কর্তৃপক্ষ তা মানতে নারাজ। তাঁরা জানিয়েছেন, জীর্ণ এবং ভগ্নদশার ওই বাড়িটির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে