লালবাজারের সামনেই সন্ধ্যায় বুকে ছুরি প্রৌঢ়ের

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের প্রবেশপথে নিরাপত্তারক্ষীদের অতন্দ্র প্রহরা। ভিতরে ঢুকতে গেলেই পুলিশের কড়া নজরদারি আর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই লালবাজারের গেটে পাহারায় মোতায়েন পুলিশকর্মীরা হঠাৎ শুনতে পেলেন প্রবল আর্তনাদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৮
Share:

কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের প্রবেশপথে নিরাপত্তারক্ষীদের অতন্দ্র প্রহরা। ভিতরে ঢুকতে গেলেই পুলিশের কড়া নজরদারি আর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেই লালবাজারের গেটে পাহারায় মোতায়েন পুলিশকর্মীরা হঠাৎ শুনতে পেলেন প্রবল আর্তনাদ। সামনের ট্রামলাইনের দিকে নজর পড়তেই ওই পুলিশকর্মীরা দেখলেন, এক মধ্যবয়সি ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করছেন। তাঁর বুক থেকে রক্ত ঝরছে। পুলিশকরমীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই আহত ব্যক্তি বুকের বাঁ দিকে হাত দিয়ে চিত হয়ে পড়ে গেলেন রাস্তার উপরে।

Advertisement

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টা নাগাদ খাস লালবাজারের সামনের এই ঘটনায় হকচকিয়ে যায় পুলিশও। তত ক্ষণে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়েছেন পথচারীরাও। আকস্মিকতার ধাক্কা সামলে শেষ পর্যন্ত পুলিশকর্মীরাই রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত মানুষটিকে তুলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

পুলিশি সূত্রের খবর, আক্হতের নাম হরিহর দাস। লালবাজার থেকে ঢিল-ছোড়া দূরত্বে ওল্ড কোর্ট হাউস স্ট্রিটের সামনে চর্মকারের কাজ করেন আমহার্স্ট স্ট্রিটের ওই বাসিন্দা। কার্তিক নামে এক ব্যক্তি এ দিন সন্ধ্যায় তাঁকে ছুরি মারে বলে অভিযোগ। হরিহরের বুকের বাঁ দিকে ছুরি বিঁধে যায়। এ দিন ঘটনার পরে লালবাজারের কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা জানান, ছুরিকাহত মানুষটি রাস্তায় পড়ে গিয়েই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। চোখেমুখে জল ছিটোনোর পরে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেন তাঁর উপরে আক্রমণ হল, নিশ্চিত করে জানা যায়নি। তবে পুলিশ মনে করছে, কার্তিক নিশ্চয়ই হরিহরের পরিচিত। পুরনো শত্রুতার জেরেই হরিহরকে ছুরি মেরেছে সে। অভিযুক্ত কার্তিক পলাতক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement