ব্যাঙ্কে ভিড়ের সুযোগে ফের ছিনতাই সল্টলেকে

কেউ পুরনো ৫০০, ১০০০-এর নোট বদলে টাকা তুলতে, কেউ আবার টাকা জমা দিতে ব্যাঙ্কের সামনে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েছেন। গোটা সল্টলেক জুড়ে ছিল এমনই ছবি। আর, সেই সুযোগকে পুরো মাত্রায় কাজে লাগাতে পথে নেমে পড়েছে ছিনতাইবাজরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৫
Share:

সুবিদা বাগলা। — নিজস্ব চিত্র

কেউ পুরনো ৫০০, ১০০০-এর নোট বদলে টাকা তুলতে, কেউ আবার টাকা জমা দিতে ব্যাঙ্কের সামনে দিনভর লাইনে দাঁড়িয়েছেন। গোটা সল্টলেক জুড়ে ছিল এমনই ছবি। আর, সেই সুযোগকে পুরো মাত্রায় কাজে লাগাতে পথে নেমে পড়েছে ছিনতাইবাজরা।

Advertisement

শুক্রবার সকালে সল্টলেকের বিডি ব্লকে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে কিছু দূর আসার পরে তাঁর হাতে ক্ষুর মেরে ব্যাগ ছিনতাই করে পালায় এক দুষ্কৃতী। এ ই ব্লকের বাসিন্দা, সুবিদা বাগলা নামে ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি এ দিন ব্যাঙ্ক থেকে গয়না নিয়ে বেরিয়ে যখন গাড়ির চালককে ফোন করছিলেন, তখন আচমকা মুখে কাপড় জড়ানো, চশমা ও কালো গেঞ্জি পরা এক যুবক এসে তাঁর ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সুবিদাদেবী ব্যাগটি চেপে ধরলে ওই দুষ্কৃতী তাঁর হাতে ক্ষুর চালায়। হাত চেপে ধরে বসে পড়েন ওই মহিলা। সেই সুযোগে ব্যাগটি নিয়ে হেঁটেই চলে যায় ওই দুষ্কৃতী।

দুপুরে বিধাননগর উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সুবিদাদেবীর স্বামী আশিস বাগলা। দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কে ওই দম্পতি। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বিডি ব্লকেও। বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন, ব্যাঙ্কের সামনে এত লোকের ভিড় থাকা সত্ত্বেও এক জন দুষ্কৃতী ছিনতাই করে সবার সামনে দিয়ে হেঁটে চলে গেল। তা হলে পুলিশি নজরদারি কোথায়?

Advertisement

শুধু এ দিনের ঘটনাই নয়। গত বুধবারও বি এল ব্লকে এক মহিলার হার ছিনতাই করে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানায়, কেষ্টপুরের বাসিন্দা রাখী হালদার কর্মসূত্রে সল্টলেকে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যায় বি এল ব্লকের রাস্তা ধরে ফেরার সময়ে দু’টি মোটরবাইকে দুষ্কৃতীরা এসে তাঁর হার ছিনতাই করে পালায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েক দিন ধরে তাঁরা দিনভর ব্যাঙ্কে ছোটাছুটি করছেন টাকা তোলার জন্য। সেই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

যদিও নজরদারির গাফিলতি মানতে নারাজ পুলিশ। বিধাননগর পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘নজরদারি আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। দু’টি ঘটনারই তদন্ত শুরু হয়েছে। নতুন কোনও চক্র আবার সক্রিয় হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন