মাঝরাতে কারখানায় দুষ্কৃতী-হামলা

বৃহস্পতিবার মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কারখানার ব্যবসায়ী সমিতির তরফে। ওই মোতি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক কালাচাঁদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গুদামের মালিককে মারধরের ভিডিয়ো কারখানার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

এলাকার কোনও কাজে ‘সাহায্য’ পাওয়া যায় না, উল্টে সেখান থেকে দূষণ ছড়ায়! এই অভিযোগে কাঁকুড়গাছির এক কারখানায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল জনা তিরিশ দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, কেরোসিন ঢেলে কারখানার মিটার বক্স পোড়ানোর চেষ্টা হয়। বাধা দিলে মারধর করা হয় কারখানার ভিতরে একটি গুদাম ঘরের মালিককেও। বুধবার গভীর রাতের ঘটনা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মানিকতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কারখানার ব্যবসায়ী সমিতির তরফে। ওই মোতি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সম্পাদক কালাচাঁদ সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গুদামের মালিককে মারধরের ভিডিয়ো কারখানার ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। সেই ফুটেজ পুলিশকে দিয়েছি।’’ অভিযোগের ভিত্তিতে দুই দুষ্কৃতীকে আটক করেছে পুলিশ। সমিতির সভাপতি জগন্নাথপ্রসাদ জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা চাইত পাড়ার কয়েক জন। না পেয়ে এই হামলা।’’ জগন্নাথবাবুর আরও অভিযোগ, ‘‘হামলাকারীরা এলাকার এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় রয়েছেন।’’

৯৮, মানিকতলা মেন রোডে ওই কারখানায় ৩০০টি গুদামের পাশাপাশি প্রায় পাঁচ হাজার লোক কাজ করেন। কালাচাঁদবাবু জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ পাশের বস্তি থেকে ১৫ জনের একটি দল পাঁচিল ভেঙে ঢোকে। একটি মিটার বক্সে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। কারখানায় উপস্থিত কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে একটি গুদামের মালিক অরুণকুমার জয়সওয়াল সেখানে এলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রের খবর, ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বস্তার উপরে ফেলে এক ব্যক্তিকে মারছে কয়েক জন। অরুণবাবু বলেন, ‘‘বাইক থেকে আমাকে নামিয়ে গুদামের ভিতরে নিয়ে যায়। বেধড়ক মারে। সবাই পাশের বস্তির ছেলে।’’

Advertisement

এর পরে হামলাকারীদের সঙ্গে আরও ২০ জন যুক্ত হয় বলে দাবি ব্যবসায়ী সমিতির। ভাঙচুর চালানো হয় সমিতির ঘরেও। কালাচাঁদবাবু বলেন, ‘‘সমিতির ঘরে লকারে থাকা ৫০ হাজার টাকাও নিয়ে করেছে দুষ্কৃতীরা।’’

বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সমিতির ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে কাচ। যদিও কারখানার পাশের বস্তির সকলে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি শুধু বলেন, ‘‘ওই কারখানার লোকদের ভাল কাজে পাওয়া যায় না। দূষণ ছড়ায়। কাল ওঁদের ওখানে আগুন লেগেছিল। ওঁদের জন্যই আমাদের ঘর পুড়ে যেত।’’

মানিকতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিক জানান, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। স্থানীয় ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শান্তিরঞ্জন কুণ্ডু বলেন, ‘‘ওই কারখানা থেকে দূষণ ছড়ায় ঠিকই। তবে এ ভাবে হামলা চালানো ঠিক নয়। পুলিশ ব্যবস্থা নিক।’’ যদিও হামলাকারীরা এলাকার কোন নেতার ছত্রচ্ছায়ায় থাকেন, সেই অভিযোগের জবাব মেলেনি তাঁর কাছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন