শহরে ঘটে যাওয়া দু’টি ডাকাতির কিনারা হয়নি এখনও। একটি মাস সাতেক আগে জোড়াবাগানে, অন্যটি বেনিয়াপুকুরে। এর মধ্যেই ফের তৃতীয় ডাকাতি। এ বারও সেই জোড়াবাগানেই।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ পোস্তা এলাকার ৬৭/৪৬ স্ট্র্যান্ড রোডের একটি চিনির গুদামে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, হঠাৎই চার দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে গুদামে। তখন তিন জন কর্মচারী ছিলেন ভিতরে। মালিক ছিলেন না।
কর্মচারীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, ভিতরে ঢুকেই ওই চার ডাকাত তাঁদের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে, হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। তার পরে ক্যাশবাক্স থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা নিয়ে পালায়। পুলিশের অনুমান, ডাকাতদলের দু’এক জন সে সময়ে গুদামের বাইরে পাহারায় ছিল।
টাকা নিয়ে ডাকাতেরা পালালে গুদামের ফোন থেকে মালিককে সব জানান কর্মচারীরা। মালিক তড়িঘড়ি এসে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে একটি মাত্র সিসিটিভি রয়েছে, যার ছবি খুব একটা পরিষ্কার নয়। কর্মচারীদের বয়ানেও অসঙ্গতি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালিক বিহারীলাল অগ্রবাল পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অজ্ঞাতপরিচয় ডাকাতদের বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই পুলিশের কাছে খবর আসে, শহরে একটি ডাকাতদল ঢুকেছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে সেই রাতেই লালবাজারে বসে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নজরদারি এবং তল্লাশির কাজে তদারকি করেন স্বয়ং কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। ছিলেন পুলিশের অন্য বড় কর্তারাও। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই নাকা-তল্লাশিতে শহরের দু’জায়গা থেকে পাঁচ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর ঠিক পরেই ফের ডাকাতির ঘটনায় নড়ে বসেছে পুলিশমহল। শুক্রবারের ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ডাকাতি-দমন শাখা। তদন্তে নেমেছে থানাও।
কর্মচারীদের মুখের বর্ণনা শুনে, শিল্পীকে দিয়ে আঁকানো হচ্ছে দুষ্কৃতীদের ছবি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ডাকাতির
পরে হাওড়া ব্রিজের দিকে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা।