রাস্তা সারাতে মিক্সার মেশিনে বাড়ছে দূষণ

এমনিতেই রুবি মোড় যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেখানে বেশ কয়েকটি বহুতলের পাশাপাশি রয়েছে তিনটি হাসপাতালও। অভিযোগ, শুধু এলাকাবাসীই নন, এই দূষণের জেরে ভুগতে হয়েছে ওই পথে যাতায়াতকারী পথচারী থেকে গাড়িচালক বা আরোহীদেরও।

Advertisement

আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

বিষাক্ত: মিক্সার মেশিন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে রুবি এলাকায়। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী

রাস্তা তৈরির জন্য জনবহুল এলাকায় ‘মিক্সার মেশিন’ ব্যবহার করা যাবে না— এমনই নির্দেশ দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। তা সত্ত্বেও বাইপাসের রুবি মোড়ে রাস্তা সারাইয়ে টানা ব্যবহৃত হচ্ছিল ওই যন্ত্র। অভিযোগ, ওই যন্ত্র থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছিল চার দিক। আর তার জেরেই দূষণ বেড়ে যায় আশপাশের এলাকায়। এমনকি, ওই ধোঁয়ায় অনেকে অসুস্থও বোধ করেছেন।

Advertisement

এমনিতেই রুবি মোড় যথেষ্ট ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেখানে বেশ কয়েকটি বহুতলের পাশাপাশি রয়েছে তিনটি হাসপাতালও। অভিযোগ, শুধু এলাকাবাসীই নন, এই দূষণের জেরে ভুগতে হয়েছে ওই পথে যাতায়াতকারী পথচারী থেকে গাড়িচালক বা আরোহীদেরও।

বুধবার রাতে অফিস থেকে বেরিয়ে বাইপাস ধরে বাড়ি ফিরছিলেন মল্লিকা মজুমদার। রুবি মোড়ের কাছে এসে তিনি দেখেন, আইল্যান্ড সংলগ্ন এলাকা কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘প্রথমে ভেবেছিলাম কোথাও আগুন লেগেছে। পরে জানতে পারলাম আইল্যান্ড সংলগ্ন রাস্তা সারানোর জেরেই এই ধোঁয়া। রাস্তা সারানো হচ্ছে ভাল কথা। কিন্তু সে জন্য কেন দূষণের কবলে পড়তে হবে?’’

Advertisement

দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমরা কেএমডিএ-কে ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছি জনবহুল এলাকার বাইরে অন্য কোথাও গিয়ে মিক্সার যন্ত্রে রাস্তা তৈরির উপকরণ তৈরি করে নিয়ে আসতে হবে। কারণ, ওই যন্ত্র থেকে যে ধোঁয়া নির্গত হয় তা মানুষের শরীরে পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।’’

যদিও কেএমডিএ-র চিফ ইঞ্জিনিয়ার (রাস্তা ও সেতু) ভাস্কর মজুমদারের দাবি, ‘‘মিক্সার মেশিন চালানোর জন্য জ্বালানি হিসাবে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে ডিজেল ব্যবহার করা হচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ অনুযায়ী বাইরে থেকে বিটুমিন তৈরি করে আনা কার্যত অসম্ভব। আর এতে রাস্তা তৈরির কাজেও অনেক দেরি হয়ে যায়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন