বস্তি এলাকায় জল এবং শৌচাগারের সমস্যা বহু দিনের। মহানগরের তেমনই চারটি বস্তি এলাকায় এ বার সেই সমস্যা মেটাতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির দিশা দেখাল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সম্প্রতি রেনিয়া, কালিকাপুর, বানতলা এবং নোনা়ডাঙার ওই বস্তিতে সৌরশক্তিতে পানীয় জল পরিশোধনের ব্যবস্থা, সৌরশক্তির আলো, বায়ো টয়লেট, জৈবসার এবং বর্ষার জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই বস্তির বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার উন্নতি হবে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদেরা।
পরিবেশবিদদের মতে, জলবায়ু বদলের ফলে জলসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ও বস্তিবাসীদের ক্ষেত্রে তা অনেক প্রকট। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর এনভায়রনমেন্ট’-এর চেয়ারম্যান দীপায়ন দে জানান, বিশ্বে সাড়ে ছ’কোটির বেশি মানুষ পানীয় জল ও শৌচাগার পান না। তাই কলকাতার পিছিয়ে পড়া মানুষের কথা ভেবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই কাজে কলকাতা ও সোনারপুর-রাজপুর পুরসভাও সাহায্য করেছে বলে জানান তিনি।
সংস্থার মুখপাত্র সোমাশ্রী বসু জানান, শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে সমীক্ষা করা হয়েছিল। তা থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে স্থির করা হয়, এই চারটি বস্তিতে সমস্যা সব থেকে বেশি। তাই এখানেই এই সব প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘ওই বস্তিগুলিতে পানীয় জল কিনতেই বাসিন্দাদের আয়ের অনেকটা খরচ হয়ে যেত।’’
রেনিয়ার মতো পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন হওয়ায় খুশি সোনারপুরের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগমও। তিনি বলেন, ‘‘এত দিন রেনিয়া সোনারপুরের সব থেকে পিছিয়ে থাকা ওয়ার্ড ছিল। এ বার উন্নয়নে এটাই প্রথম সারিতে উঠে এসেছে।’’ একই সুর সোনারপুর-রাজপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাসের গলাতেও।
পুরসভার ১০৯ নম্বর ওয়ার্ড তথা কালিকাপুর এলাকার কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই ধরনের কাজ অবশ্যই ভাল। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরকেও এই ধরনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করলে ভাল হয়।’’