প্রেসিডেন্সি জেল। —ফাইল চিত্র।
প্রতিষ্ঠানের ভিতরে জল এবং জঞ্জাল জমিয়ে রাখার দায়ে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করল পুর আদালত। টাকার পরিমাণ মাত্র এক হাজার টাকা হলেও ওই ঘটনায় কি অস্বস্তিতে জেল কর্তৃপক্ষ? জরিমানার কোনও চিঠি এখনও তাঁদের কাছে আসেনি বলে জানান ওই জেল কর্তৃপক্ষ।
ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে যখন শহর জুড়ে অভিযান চলছে। সেখানে একটি সরকারি সংস্থা কেন তৎপর হবে না, প্রশ্ন তুলেছে পুর প্রশাসন। পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, জমা জল থেকে ডেঙ্গির আশঙ্কা প্রবল। তা ছাড়া, জঞ্জাল সাফাই করাও দরকার। প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষকে এ কথা আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু কাজ না হওয়ায় ওই সংশোধনাগারের বিরুদ্ধে পুর আদালতে কেস করা হয়। চলতি সপ্তাহে তার রায়ে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে শহরে আতঙ্ক বাড়ছে। পুরসভার একদল কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। পুরসভার আমলা এবং শহরের চিকিৎসকেরা মনে করেন, জনস্বাস্থ্য পরিষেবা ঠিক থাকলে মশাবাহিত রোগ নিবারণ করা সম্ভব। তা সফল করতে জনপ্রতিনিধিদেরই উদ্যোগী হতে হবে। এলাকার কাউন্সিলরেরা পাড়ায় পাড়ায় যতটা জনসচেতনতার কাজ করতে পারেন, তা সরকারি কর্মীদের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু ডেঙ্গি মোকাবিলার ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, এক শ্রেণির কাউন্সিলর মাথাই ঘামাচ্ছেন না। পাড়ায় কোথায় জঞ্জাল পড়ে এবং জল জমে, খবর নেন না বহু কাউন্সিলর। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসা রোগীরা কতটা পরিষেবা পাচ্ছেন, সে দিকে নজর না-দেওয়া কাউন্সিলরের সংখ্যা নেহাত কম নয় বলেই অভিযোগ। সে কথা কানে গিয়েছে পুর প্রশাসনেরও। যে এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ বেশি, সেখানে কেন তা বাড়ছে, তা-ও ধরা পড়েছে পুরসভার রিপোর্টে।
এমন নানা সমস্যা নিয়েই আজ, বৃহস্পতিবার পুরভবনে বৈঠক করেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তাই মুম্বই যাওয়ার আগে শাসক দলের কাউন্সিলরদের ডেঙ্গি প্রতিরোধের বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ সুব্রত বক্সী ওই এলাকার কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। এ বার মেয়র দলীয় কাউন্সিলরদের মশাবাহিত রোগ দমনে আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিতে চান। যদিও এ দিন এক অনুষ্ঠানে শোভনবাবু বলেছেন, ‘‘মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে পুরসভা ৩৬৫ দিনই কাজ করে।’’