প্রতীকী ছবি।
বর্তমানে বিধাননগর পুরসভার অধীন রাজারহাট-গোপালপুর এবং মহিষবাথান এলাকা। সেখানে বেআইনি ফ্ল্যাট ও বাড়ি তৈরি হচ্ছে বলে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে পুরসভায়। এ দিকে পুর কর্তৃপক্ষ চলতি মাসের ৩১ তারিখ পর্যন্ত এক মাস, ওই এলাকার বাসিন্দাদের থেকে সম্পত্তিকর আদায় বন্ধ রেখেছেন। পুরসভা সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারি থেকে পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মালিকের নাম, ক’তলা বাড়ি ও তার আয়তন, বিল্ডিং প্ল্যান রয়েছে কি না, মিউটেশনের কাগজ রয়েছে কি না, দেয় সম্পত্তিকরের পরিমাণ— যাচাই করবেন। এর পরে নতুন করের বিল বাড়ির মালিককে দেওয়া হবে। তার পরে অনলাইনে জমা নেওয়া হবে। যদিও সল্টলেকে এই অনলাইন পরিষেবা চালু হয়েছে আগেই।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ১-২৮ নম্বর ওয়ার্ড পর্যন্ত এলাকা পুরসভায় যুক্ত হলেও এত দিন সম্পত্তিকর ২০০৫ সালের মূল্যায়ন মেনে নেওয়া হচ্ছিল। তাই নতুন করে কর কাঠামো তৈরির প্রস্তুতি চলছে।
এক পুরকর্তা জানান, সংযুক্ত এলাকার অনেক ক্ষেত্রে বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট ২০০৭-এর বিল্ডিং আইন মেনে কাজ হয়নি। বেআইনি ভাবে বহুতল হয়েছে বলেও অভিযোগ। কোথাও আবার একতলার জায়গায় তিনতলা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কর দেওয়া হচ্ছে একতলার। মালিকের নাম ভুল। কেউ আবার বহু দিন কর দেননি। তাই পুরসভা স্থির করেছে, সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট ফর্ম দেওয়া হবে বাড়ির মালিকদের। তাঁরা পূরণ করে জমা দিলে নতুন অ্যাসেসমেন্ট হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, বেআইনি বাড়ি বা ফ্ল্যাট পুরসভার নিয়ম মতো ভাঙার কথা। তবে রাজারহাট-গোপালপুরের ক্ষেত্রে কী হবে তা ঠিক হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে বাড়ি ভাঙা হয়েছে, তা নিয়ে মামলা চলছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেন, ‘‘বহু মালিক ও ব্যবসায়ী সম্পত্তিকর ঠিক মতো দিচ্ছেন না। পুরসভা তাঁদের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ব্যাঙ্কের মাধ্যমে কর দেওয়া চালু হলে স্বচ্ছতা আসবে।’’