—প্রতীকী ছবি।
গায়ে রং দেওয়ার প্রতিবাদে মাথায় ভারী হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল এক যুবককে। এক সপ্তাহের মাথায় মারা গেলেন সেই জখম বাবু দাস (২২)। বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে ঘটনাটি ঘটে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার ঢালিপা়ড়া চাকদায়। পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে। তাঁর নাম সন্তোষ দাস।
পুলিশ সূত্রের খবর, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের রাতে ঢালিপাড়া চাকদায় একটি গ্রিলের দোকানে রঙের কাজ হচ্ছিল। দোকানের কর্মী সন্তোষ দাস তখন ঘুমোচ্ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, রাত তিনটে নাগাদ বাবু এসে সন্তোষের গায়ে রং মাখিয়ে দেন। ঘুমন্ত অবস্থায় শরীরে রং মাখানোয় রেগে যান সন্তোষ। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কথা কাটাকাটি হাতাহাতিতে গড়াতেই সন্তোষ গ্রিলের দোকানের একটি ভারী হাতুড়ি নিয়ে বাবুর মাথায় সজোরে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বাবু। তদন্তকারীরা জানান, সেই রাতে ওই গ্রিলের দোকানে তিন জন ছিলেন। তাঁরাই বাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএম এবং পরে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার বিকেলে ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মারা যান বাবু।
পুলিশ জানায়, বিশ্বকর্মা পুজোর দিনই বাবুর মা মাধবী দাস ছেলেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন রিজেন্ট পার্ক থানায়। বাবু ওই এলাকার অন্য একটি গ্রিলের দোকানে কাজ করতেন। তাঁর মৃত্যু হওয়ায় সন্তোষের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। সোমবার সন্তোষকে গ্রেফতার করা হয়। আজ, মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হবে।