ষাট লাখ টাকা দামের হিরের আংটি বাড়ি থেকে গেল কোথায়? রহস্য

বাড়ি থেকে উধাও ৬০ লক্ষ টাকা দামের হিরের আংটি। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য।পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে বালিগঞ্জ থানা এলাকার এজেসি বসু রোডের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ওই ব্যবসায়ীর তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তাঁর মায়ের ঘরে থাকা পাঁচ ক্যারেটের ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরের আংটির খোঁজ মিলছে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৫
Share:

প্রতীকী ছবি

বাড়ি থেকে উধাও ৬০ লক্ষ টাকা দামের হিরের আংটি। আর তা নিয়েই তৈরি হয়েছে রহস্য।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ঘটনাটি ঘটেছে বালিগঞ্জ থানা এলাকার এজেসি বসু রোডের বাসিন্দা এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। ওই ব্যবসায়ীর তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তাঁর মায়ের ঘরে থাকা পাঁচ ক্যারেটের ৬০ লক্ষ টাকা মূল্যের হিরের আংটির খোঁজ মিলছে না। সেই সঙ্গে ঘটনার পর থেকেই উধাও হয়ে গিয়েছেন বাড়ির এক পরিচারিকাও। লালবাজার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার ওই চুরির অভিযোগ দায়ের করার পরেই স্থানীয় থানা এবং লালবাজারের চুরি দমন শাখার গোয়েন্দারা একযোগে তদন্ত শুরু করেছেন। তবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই চুরির কিনারা করতে পারেননি তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীর তরফে জানানো হয়েছে, ওই হিরের আংটি তাঁর ৭০ বছর বয়সী মায়ের। গত ১৯ ডিসেম্বর ওই বৃদ্ধা বাড়িতেই ছিলেন। এর পর তিনি আমেরিকায় যান এক আত্মীয়ের বাড়িতে। ঘরে বাক্সে ভরে রেখে যান আংটি। পুলিশের কাছে ওই ব্যবসায়ীর দাবি, গত সপ্তাহে ফিরে এসে তাঁর মা দেখেন বাক্স থাকলেও সেখানে নেই আংটি। বাড়িতে খোঁজাখুঁজির পরও মেলেনি সেটি। পুলিশের কাছে পরিবারের সদস্যদের দাবি, ওই বৃদ্ধা বাড়িতে না থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যরা তখন বাড়িতেই ছিলেন। শুধু এক পরিচারিকা, ওই বৃদ্ধা আমেরিকায় যাওয়ার পরের দিন কাজ ছেড়ে দেন। ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ওই পরিচারিকাই ওই ষাট লাখি আংটি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন।

Advertisement

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানায়, ওই পরিচারিকা কয়েক বছর ধরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে কাজ করলেও তার কোন পরিচয়পত্র তাঁদের কাছে ছিল না। এ ছাড়াও বৃদ্ধা আমেরিকায় চলে যাওয়ার পর বাড়িতে অন্য সদস্যরা ছিলেন। কিন্তু কেউই ওই হিরের আংটি উধাও হয়ে যাওয়া খেয়াল করেননি বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।

এক তদন্তকারী অফিসার জানান, পরিচারিকা থাকার সময়ের কোনও সিসিটিভি ফুটেজও নেই। বাড়ির অন্য পরিচারক-পরিচারিকাদের জেরা করা হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। যাঁর মাধ্যমে ওই পলাতক পরিচারিকাকে কাজে লাগানো হয়েছিল, তাঁরও খোঁজ চলছে বলে লালবাজারের দাবি। ওই পরিচারিকার স্কেচ আঁকানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন