মণ্ডপের সরু পথে নাকাল মানুষ

বেরোনোর পথেও একই দশা। অষ্টমীর রাতে ভিড় উপচে পড়েছিল মণ্ডপে মণ্ডপে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৮ ০০:০০
Share:

উত্তর কলকাতার সরু গলি।

অষ্টমীর রাতে মেয়ের হাত ধরে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন মাঝবয়সী এক ব্যক্তি। দক্ষিণ শহরতলির এক থিমের মণ্ডপের সামনে গিয়ে রীতিমতো হাঁসফাঁস দশা তাঁর। সরু দরজা ঠেলে শ’য়ে শ’য়ে লোক ঢুকছে। বেরোনোর পথেও একই দশা।
অষ্টমীর রাতে ভিড় উপচে পড়েছিল মণ্ডপে মণ্ডপে। ভিড় ঠেলে ঠাকুর দেখতে গিয়ে অপ্রশস্ত ঢোকা-বেরোনোর পথে নাকাল হয়েছেন অনেকেই। বিশেষত গলির পুজোগুলিতেই সমস্যা বেশি হয়েছে বলে জানাচ্ছে পুলিশ।
প্রশ্ন উঠেছে, তুমুল ভিড়ে এই অপ্রশস্ত মণ্ডপে তো বিপদ ঘটে যেতেই পারে। উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে সরু গলির পুজো বললেই মনে আসে নলিন সরকার স্ট্রিটের কথা। তারকা পুজো হিসেবে খ্যাতি থাকায় ভিড়ও হয় সেখানে। অষ্টমীর রাতে সেই মণ্ডপে ঢুকতে-বেরোতে গিয়ে অনেকেরই মারাত্মক কষ্ট হয়েছে। বেশি কষ্ট হয়েছে বৃদ্ধ এবং শিশুদের। দক্ষিণের সন্তোষপুর লেকপল্লির ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। অনেকে বলছেন, মণ্ডপে প্রচুর দাহ্য বস্তু ব্যবহার করা হয়। কোনও ভাবে আগুন লাগলে অপ্রশস্ত বেরোনোর পথ বিপদ আরও বাড়াতে পারে।
সরু গলিতে মণ্ডপ করলে ঢোকা-বেরোনোর রাস্তা যে সরু থাকে, তা মেনে নিচ্ছেন পুজোকর্তারা। তবে তাঁরা এ-ও জানান, পুজোমণ্ডপে অগ্নিরোধী রাসায়নিকের প্রলেপ দেওয়া থাকে। তা না হলে দমকলের ছাড়পত্র মেলে না। নলিন সরকার স্ট্রিটের পুজোকর্তা সিদ্ধার্থ সান্যালের কথায়, ‘‘আমাদের সরু গলিতে সব নিয়ম মেনে এবং যথাসম্ভব রাস্তা ছেড়েই মণ্ডপ করা হয়। কিন্তু গলিটাই সরু। ফলে ইচ্ছে থাকলেও প্রশস্ত রাস্তা করা সম্ভব হয় না।’’ সন্তোষপুর লেকপল্লির সম্পাদক সোমনাথ দাসের দাবি, ‘‘আমরা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে যথাসম্ভব প্রশস্ত ঢোকা-বেরোনোর পথ রেখেছিলাম। কোনও কোনও সময়ে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে সাময়িক সমস্যা হয়েছে।’’ পুজোকর্তাদের দাবি, বৃদ্ধ ও শিশুদের নিরাপত্তা ও সাহায্যের জন্য রক্ষী ও স্বেচ্ছাসেবকেরা ছিলেন

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন