বিধাননগর ও রাজারহাট-গোপালপুর মিলিয়ে তৈরি হওয়া কর্পোরেশনে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড বিলুপ্ত হবে সল্টলেক থেকেই। যদিও বিধাননগর পুরসভার তুলনায় দশটি ওয়ার্ড বেশি রয়েছে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার অধীনে। সরকারি সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত যা পরিকল্পনা তাতে সল্টলেক থেকে ১২টি, রাজারহাট-গোপালপুর থেকে ২৭টি ওয়ার্ড ও মহিষবাথান পঞ্চায়েতের কিছু অংশ নিয়ে একটি পৃথক ওয়ার্ড তৈরি করে গড়া হবে নতুন এই বিধাননগর কর্পোরেশন। শেষ পুর-বোর্ড পর্যন্ত বিধাননগর পুরসভায় ২৫টি এবং রাজারহাট-গোপালপুরে ছিল ৩৫টি ওয়ার্ড। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে সল্টলেক থেকে ১৩টি ও রাজারহাট-গোপালপুর থেকে ৮টি ওয়ার্ড বিলুপ্ত হবে।
বিধাননগর ও রাজারহাট-গোপালপুর মিলিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে এই বিধাননগর কর্পোরেশন। কিন্তু ওয়ার্ড বিন্যাস এখনও হয়নি। রাজ্য সরকার চাইছে যত দ্রুত সম্ভব নতুন ওয়ার্ড তৈরি করে কর্পোরেশনের নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিতে। যাতে নতুন বোর্ড তৈরি করে পুর-পরিষেবার কাজও পুরো দস্তুর শুরু করে দেওয়া যায়।
সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, আগামী ৩ অক্টোবর ওই কর্পোরেশনের নির্বাচন হবে। সরকারি সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়িই নতুন ওয়ার্ড নির্মাণের কাজ শেষ করে তা উত্তর ২৪ পরগনার জেলা শাসকের কাছে জমা দেবেন বিধাননগরের মহকুমা শাসক পবন কাডিয়ান। তিনিই আপাতত বিধাননগর কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন। তবে তিনি এ নিয়ে বিশেষ কিছু জানাতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
সরকারি আধিকারিকেরা জানান, সামনে নির্বাচন থাকায় অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গেই সব কাজ সারা হচ্ছে। কারণ ওয়ার্ড বিন্যাসের পরেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা শুরু হবে। ওয়ার্ড বিন্যাসের দিকে চেয়ে রয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলই। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘বঙ্গীয় পুর-আইনে বিভিন্ন কর্পোরেশনের আলাদা আলাদা ‘গ্রেড’ আছে। কলকাতা পুরসভা তার গ্রেড অনুযায়ী যত ওয়ার্ড পাবে, বিধাননগর তা পাবে না। ফলে চল্লিশটি ওয়ার্ড নিয়েই তৈরি হবে বিধাননগর পুরসভা।’’
আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, বঙ্গীয় পুর-আইন মেনে দুই কর্পোরেশনের ওয়ার্ড তৈরিতে জনসংখ্যাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ড তৈরি হবে পনেরো হাজার মানুষের জনবসতি নিয়ে। দেড় থেকে দু’টি করে ওয়ার্ড ভেঙেই তৈরি করা হবে চল্লিশটি ওয়ার্ড। এ পর্যন্ত যা খবর, তাতে সল্টলেকের দিকে প্রায় দু’টি করে ওয়ার্ড ভাঙা পড়বে। রাজারহাট-গোপালপুরের অর্জুনপুর এলাকার দিক থেকে ভাঙা পড়বে দেড় খানা করে ওয়ার্ড।