চলছে কাজ। সোমবার। — নিজস্ব চিত্র
হেরিটেজ-বিতর্ক জিইয়ে রেখেই নতুন ফটক তৈরির কাজ চলছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত ১৪ ডিসেম্বর শতাব্দীপ্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ফটকটি বুলডোজার দিয়ে সরিয়ে দেওয়ায় তুমুল বিতর্ক বাধে। তারই মধ্যে দ্রুত এগোচ্ছে নতুন গেট তৈরির কাজ। চলতি সপ্তাহেই সেটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।
২০০ বছর পূর্তির প্রাক্কালে ক্যাম্পাস সংস্কারের অঙ্গ হিসেবে প্রস্থে বড় ফটক তৈরির উদ্দেশে ওই ফটকটি ভেঙে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের তুমুল প্রতিবাদের পাশাপাশি পুরসভার হেরিটেজ কমিটিও জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্সির ফটক-সমেত বাড়িটি ‘গ্রেড ওয়ান’ হেরিটেজ ভবন। তাই অনুমতি ছাড়া ফটক ভাঙা উচিত হয়নি।
সোমবার প্রেসিডেন্সি রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার জানান, নতুন করে গড়া মূল ফটকটির পাশে ছোট দু’টি দরজা রাখা হচ্ছে। তা দিয়েও যাতায়াত করা যাবে। তিনি বলেন, ‘‘চলতি সপ্তাহেই গেটটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
এর পাশাপাশি প্রেসিডেন্সির সামনের ফুটপাথে মোট ৯২টি বইয়ের দোকান নতুন করে বানিয়ে দেওয়ার কাজও শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রার আগেই জানিয়েছিলেন, এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হচ্ছে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা। আপাতত লোহার কাঠামোগুলি লাগানোর কাজ চলছে। প্রেসিডেন্সির ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে জানুয়ারি মাসে ঠাসা কর্মসূচি। তার আগেই যাবতীয় সংস্কারের কাজ শেষ করে ফেলতে চান কর্তৃপক্ষ।