বর্ষশেষের সন্ধ্যা হতেই শুরু উপদ্রব! কোথাও তারস্বরে পেল্লাই সাউন্ড বক্স (ডিজে বক্স), কোথাও বাজির দাপট। মাঝরাত পেরিয়েও সেই উৎপাতে অতিষ্ঠ আমজনতা। কিন্তু প্রশাসনের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এমন উদাহরণ নেহাতই বিরল।
অনেকেই বলছেন, নতুন বছরেও শহরের দূষণের ছবিটা যে বদলাবে না, বর্ষবরণের রাতই তার প্রমাণ। পরিবেশকর্মীরা জানান, শহর এবং শহরতলি, সব জায়গাতেই এই দূষণের দাপট ছিল অব্যাহত। ডি়জে এবং শব্দবাজি— দুই-ই এ রাজ্যে নিষিদ্ধ। কিন্তু প্রকাশ্যে এ সব দাপট চালালেও পুলিশ বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ফিরেও তাকায়নি।
এ দিন সন্ধ্যায় মধ্যমগ্রাম স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। কয়েক পা দূরেই মাঠে তারস্বরে ডিজে বক্স বাজছিল। সেই শব্দ শুনে বৃদ্ধের মন্তব্য, ‘‘এমন শব্দ বেশি ক্ষণ শুনলে অসুস্থ হয়ে পড়ব।’’ এ ভাবেই শহরের নানা প্রান্তে ডিজের শব্দে অতিষ্ঠ হয়েছেন অনেকেই।
এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে যুক্তি, নজরদারি ছিল। অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্ষদের এক শীর্ষ কর্তা বলছেন, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘নানা ভাবে প্রচার চালিয়েও সচেতনতা বাড়ছে না।’’