ধৃত নাইজিরীয় তরুণী ওকোসান ক্রিস্টেনিয়া। অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
শহরে গ্রেফতার নাইজিরীয় মাদকরানি। পুলিশের দাবি, কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, হায়দরাবাদ-সহ ভারতের বিভিন্ন মেট্রো শহরে মাদক পাচারের সঙ্গে যুক্ত ওই নাইজিরীয় তরুণী।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতায় বড় ‘ডিল’ হওয়ার কথা ছিল। তাই এ দিন দিল্লি থেকে রাঁচী হয়ে কলকাতায় আসে নাইজিরীয় তরুণী ওকোসান ক্রিস্টেনিয়া। আগে থেকেই সূত্র মারফত সেই খবর পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশের কাছে। এদিন সকালে দমদম বিমানবন্দরে ঢুকতেই প্রায় এক কোটি টাকার কোকেন-সহ ওই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। অন্তর্বাসের ভিতরে লুকিয়ে তিনি কোকেন পাচার করছিলেন।
ওই তরুণীকে জেরা করে শহরের বিভিন্ন নাইট ক্লাবের নামও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তদন্তে নামী কয়েকজন ডিজে-র নামও উঠে এসেছে। ওকোসান এর আগেও অনেকবার শহরে এসেছে। প্রতি বারই ফসকে গিয়েছে। তবে, এ বার আর ভুল হয়নি পুলিশের। আঁটঘাঁট বেধেই শেষ মুহূর্তে পালানোর সময় গ্রেফতার করা হয় ওই মাদকরানিকে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ধনী দেশ হওয়ার পথে ভারত, দাবি মুকেশ অম্বানির
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শীত পড়লেই শহরের মাদকের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তার অন্যতম কারণ, নভেম্বর থেকে জানুযারি মাসের মধ্যে নাইট ক্লাবগুলোতে পার্টির সংখ্যা বেড়ে যায়। আর এই পার্টিতে কোকেন, হেরোইন, গাঁজার চাহিদা থাকে তুঙ্গে। নাইট ক্লাবে গিয়ে মাদক নিতে গিয়ে ধরাও পড়েন অনেকে। মাদকের এই হাত বদলে কাজে লাগানো হয় ডিজে-দের। ওই নাইজিরীয় তরুণীকে জেরা করে কয়েকজনের নাম জানা গিয়েছে। ওই সব নামী ডিজে সত্যিই এই ধরনের বেআইনি কারবারে জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নাইট ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলছেন গোয়েন্দারা। এই চক্রে আর কারা জড়িত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ক্যালিফোর্নিয়ায় ৮০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে মৃত্যু ভারতীয় দম্পতির
নাইট ক্লাব ছাড়াও, ব্যক্তিগত পার্টি অথবা রেভ পার্টিতে মাদকের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ব্যক্তিগত পার্টিতে তল্লাশি চালানোর আগে, আঁটঘাট বেঁধেই এগোতে হয় পুলিশকে। এই নাইজিরীয়তরুণীরগ্রেফতারকে বড়সড় সাফল্য বলেই মনে করছে কলকাতা পুলিশ।