NKDA

নির্মাণস্থলে জেনারেটরে রাশ টানবে এনকেডিএ

সম্প্রতি এনকেডিএ-তে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা এবং বাসিন্দাদের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৫৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দূষণ রোধে নিয়ম তৈরি হলেও নির্মাণ কাজের সময়ে তা মানা হচ্ছে না। তাই নিয়ে সরব হয়েছেন নিউ টাউনের বাসিন্দারা। প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে পদক্ষেপ করার আর্জিও জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

বাসিন্দাদের সেই দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে নির্মাণ কাজ থেকে যে কোনও প্রকারের দূষণ আটকাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিল নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এনকেডিএ। পাশাপাশি নির্মাণকাজের জেরে রাস্তা দখল, নিকাশি নালা অবরুদ্ধ করা, জল জমানোর ঘটনা যাতে না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকাও দেওয়া হবে বলে এনকেডিএ সূত্রের খবর।

সম্প্রতি এনকেডিএ-তে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা এবং বাসিন্দাদের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

Advertisement

বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিন-রাত নির্মাণস্থলে জেনারেটরের শব্দ থেকে শুরু করে নানা ধরনের আওয়াজে কান পাতা দায়। ধুলোর জেরে নির্মাণস্থলের চারপাশ ধোঁয়ায় ভরে থাকে। রাস্তা দখল করে ফেলে রাখা হয় ইমারতি দ্রব্য। অনেক প্রবীণ নাগরিকের বসবাস নিউ টাউনে। পাশাপাশি চলছে পরীক্ষার মরসুমও। এনকেডিএ-র আলোচনাতে সেই সব বিষয়ও উঠে আসে।

পাশাপাশি নির্মাণস্থলে জলের অপচয় যেমন আটকাতে হবে তেমনই জল জমতে দেওয়া যাবে না। তার জন্যেও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনকেডিএ। একইসঙ্গে বহুতল তৈরির ক্ষেত্রেও বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। যেমন, ছাদে রিফ্লেক্টিভ রঙের ব্যবহার করতে হবে। তাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সৌর প্যানেল কিংবা বৃষ্টির জল ব্যবহারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এটি এখন এনকেডিএ-র নিয়মে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্মীয়মাণ আবাসন চত্বরে গাছ লাগাতে হবে, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি যে জল নষ্ট হচ্ছে তা ধরে রেখে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করতে হবে। একইসঙ্গে নির্মাণস্থলে শ্রমিকদের জন্য বায়ো-টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে।

আলোচনা থেকে যে সব সিদ্ধান্ত উঠে এসেছে তার মধ্যে নির্মাণস্থলে চট বা সেই ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করতে হবে যাতে ধুলো বাইরে না যায়। রাত আটটা থেকে পরের দিন ভোর ৬টা পর্যন্ত ডিজেল জেনারেটর চালানো যাবে না। পরে সারা দিনেও জেনারেটর চালালে শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। নির্মাণস্থল থেকে এমন কিছু নিকাশি নালা, কিংবা রাস্তার নর্দমায় ফেলা যাবে না যার জেরে সেগুলি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তা দখল করে কোনও ইমারতি দ্রব্য রাখা যাবে না। নির্মাণস্থলে জল জমানো যাবে না। মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ স্প্রে করতে হবে। ঠিকাদার থেকে নির্মাণকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের যোগাযোগের নম্বর নির্মাণস্থলে রাখতে হবে। বাড়ির নকশা জমা করার সময়ে নির্মাণের নকশাও জমা দিতে হবে।

এনকেডিএ-র এক কর্তা জানান, নিয়ম যাতে পালন করা হয় তার জন্যই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নিয়ম না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন