শালিমার স্টেশনের খোলনলচে বদলে সেখান থেকে ধীরে ধীরে পণ্য পরিবহণের সব ব্যবস্থাই তুলে দিচ্ছে রেল। কারণ, ওই স্টেশনে যাত্রী পরিবহণের জন্য নতুন আর একটি টার্মিনাল স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
রেল সূত্রের খবর, ৩১ মে-র পর থেকে শালিমারে আরও কোনও সিমেন্ট খালাস হবে না। তবে আপাতত কন্টেনার ও লৌহ আকরিক বোঝাই ও খালাস করা হবে। পরবর্তীকালে তা-ও বন্ধ করে দেওয়া হবে। সিমেন্ট খালাস করা এবং তা রাখার জন্য গুদাম তৈরি করা হয়েছে হাওড়া-খড়্গপুর লাইনের আবাদা ও সাঁকরাইলে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, নতুন পরিকল্পনায় শালিমার স্টেশনটিকে আমূল পাল্টে ফেলা হচ্ছে। নকশা অনুযায়ী ওই স্টেশনে আরও কয়েকটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হবে। তৈরি হবে নতুন স্টেশন ভবনও। মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীদের জন্য তৈরি হবে ওয়েটিং হল। থাকবে অন্যান্য পরিষেবাও। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘নতুন এই পরিকল্পনা খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে মোট ৩৫০ কোটি টাকা। পরিকল্পনাটিকে দু’টি পর্যায়ে ভাগ করে কাজ চলছে।’’
রেল সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করতে সময় লাগবে তিন বছর। তার পরে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ। প্রথম পর্যায়ের কাজের পরে কলকাতা থেকে শালিমার যাতে কম সময়ে পৌঁছনো যায়, তার জন্যও আলাদা পরিকল্পনা করেছেন রেলকর্তারা। সঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, কলকাতার সঙ্গে শালিমারকে নদীপথে যুক্ত করার ব্যবস্থা করবে রেল। তার জন্য শালিমারে গঙ্গার উপরে বিরাট জেটিও তৈরি হবে। কাজ শেষ হওয়ার পরে ওই স্টেশনটি চালু হলে হাওড়ার বদলে শালিমার থেকে বেশ কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ছাড়ার ব্যবস্থা করা হবে তিনি জানিয়েছেন।
কিন্তু শালিমার থেকে পণ্য পরিবহণের বিষয়টি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হতেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। মাল খালাস করা বা লরিতে মাল তোলার কাজে যাঁরা নিযুক্ত, তাঁদের একাংশ আপত্তি জানিয়েছেন। রেলকর্তারা অবশ্য বলেছেন, হাওড়া থেকে নতুন কোনও ট্রেন চালানোর পরিস্থিতি নেই। পরিবর্তীকালে সাঁতরাগাছির সঙ্গে শালিমারকেও তাই ঢেলে সাজার ব্যবস্থা হচ্ছে।