ফাইল চিত্র
সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছিল আগেই। এ বার জানা গেল, দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকায় গত তিন দিনে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সোমবার ওই পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান জানান, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত তিন দিনে নতুন করে কেউ আক্রান্ত না হওয়ায় তাঁরা খানিকটা নিশ্চিন্ত বোধ করছেন।
পুরকর্তারা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতে পুরসভার আয় অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তার মধ্যেও দু’টি সেফ হোম চালানো থেকে শুরু করে করোনা মোকাবিলায় বেশ কিছু পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। সে জন্য খরচও হচ্ছে অনেক। তবে এখন সংক্রমণ কমতে থাকায় সেই সমস্ত পরিষেবা কিছুটা গুটিয়ে আনার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ দমদম পুরসভা সূত্রের খবর, আগে যেখানে ১০০ জন পরীক্ষা করালে ৬০ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসছিল, সেখানে গত সাত দিনে প্রায় ৩০০ জনের পরীক্ষায় মাত্র ১০ জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। গত তিন দিনে এক জনও আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর মেলেনি। গত সাত দিনে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেনি। পুরসভা সূত্রের দাবি, ২৫ এপ্রিল থেকে সোমবার পর্যন্ত ওই এলাকায় মোট ৩৬৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের।
পুর প্রশাসকমণ্ডলীর এক সদস্য জানান, করোনা মোকাবিলায় পুর এলাকার রবীন্দ্র ভবন এবং কনকচাঁপায় দু’টি সেফ হোম করা হয়েছে। দু’টি জায়গা মিলিয়ে মোট ১০৫টি শয্যার ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে মাত্র ১২ জন ভর্তি রয়েছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, সেফ হোম থেকে শুরু করে অ্যাম্বুল্যান্স, শববাহী যান— সব কিছুরই ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে খরচ অনেকটাই। কিন্তু বর্তমানে সম্পত্তিকর থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতেই আয় উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। পুর প্রশাসক জানান, সীমিত ক্ষমতার মধ্যেই পুরসভা চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখন আক্রান্তের সংখ্যা ধারাবাহিক ভাবে কমতে থাকায় সেফ হোম-সহ কিছু পরিষেবা চালু রাখা হলেও এই খাতে খরচ কী ভাবে কমানো যায়, তা ভাবা হচ্ছে।