নেই পুলিশ, আইন ভেঙেই যাতায়াত

সিগন্যাল রয়েছে। পুলিশের দাঁড়ানোর জায়গাও রয়েছে। শুধু পুলিশই নেই! তাই যাদবপুরের এইট-বি মোড়ে অবাধে ট্র্যাফিক আইন ভাঙা চলছে। ফলে প্রায়ই জট পাকিয়ে থাকে এই মোড়। পাশাপাশি ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০১:২২
Share:

নিয়মভঙ্গ: এইট-বি মোড়ে যেমন খুশি চলো। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক

সিগন্যাল রয়েছে। পুলিশের দাঁড়ানোর জায়গাও রয়েছে। শুধু পুলিশই নেই! তাই যাদবপুরের এইট-বি মোড়ে অবাধে ট্র্যাফিক আইন ভাঙা চলছে। ফলে প্রায়ই জট পাকিয়ে থাকে এই মোড়। পাশাপাশি ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

পথকে নিরাপদ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইভ’ প্রকল্পের সূচনা করেছেন। পয়লা এপ্রিল থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালন করছে প্রশাসন। শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসিটিভি বসেছে। কিন্তু এইট-বি মোড়ের মতো জায়গায় পুলিশের দেখা মেলে না বলে অভিযোগ।

যাদবপুর থানার কাছের মোড়ে প্রায় সব সময়ই ট্র্যাফিক পুলিশকে দেখা যায়। কিন্তু তার পরে রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডের ওপরে কোথাও পুলিশের দেখা মেলে না। রবীন্দ্রসরোবর মেট্রো স্টেশন থেকে যে অটোগুলি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় যায় সেগুলি আইনি ভেঙেই যেখান-সেখান থেকে ‘ইউটার্ন’ করে। ফুটপাথ জুড়ে দোকান থাকায় রাস্তা ব্যবহার করতে হয় পথচারীদের। সেক্ষেত্রে ঝুঁকির আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।

Advertisement

স্থানীয় এক দোকানদার বলেন, ‘‘এমনিতেই অনেকে ট্র্যাফিক আইন মানতে চান না, এখানে পুলিশ না থাকায় যে যার মতো চলে।’’ রাস্তা পার হওয়ার জন্য ভূগর্ভস্থ পথ রয়েছে। পথচারীদের বড় অংশই তা ব্যবহার করেন না বলেই জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক সময়ে পথচারীদের সচেতনার অভাবে যানবাহন এগোতে পারে না। পরিস্থিতি বদলাতে পুলিশ আদৌ কী পদক্ষেপ করবে?

এ বিষয়ে ট্র্যাফিক পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘এখানে নিয়মিত পুলিশ যে থাকে না সেটা জানা ছিল না। খোঁজ করছি। যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement