বাড়ি থেকে পালিয়ের সংখ্যা বাড়ছে

পুলিশ ও কলকাতা চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর, গত ২ এপ্রিল বিহার থেকে পোস্তায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসে ওই কিশোর। কিন্তু সেখান থেকে শহর দেখতে বেরিয়ে সে আর বাড়ি ফেরেনি। আত্মীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে বিহারে ওই কিশোরের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্তা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ০৩:৩৯
Share:

ছবি: সংগৃহীত

দিনদিনই বেড়ে চলেছে বাড়ি থেকে চলে আসা শিশু ও কিশোরের সংখ্যা!

Advertisement

সম্প্রতি আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে হারিয়ে গিয়েছিল বিহারের বাসিন্দা, বছর চোদ্দোর কিশোর। বিভিন্ন জায়গায় তন্নতন্ন করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। শেষে ভিন্ রাজ্য থেকে উদ্ধার করে তাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনল পুলিশ।

পুলিশ ও কলকাতা চাইল্ড লাইন সূত্রের খবর, গত ২ এপ্রিল বিহার থেকে পোস্তায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসে ওই কিশোর। কিন্তু সেখান থেকে শহর দেখতে বেরিয়ে সে আর বাড়ি ফেরেনি। আত্মীয়েরা সঙ্গে সঙ্গে বিহারে ওই কিশোরের বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করে পোস্তা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে এনেছেন পোস্তা থানার অফিসারেরা। চাইল্ড লাইন জানিয়েছে, আপাতত ওই কিশোরকে হোমে রাখা হয়েছে। বাড়ির লোকজন এলে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

গত শনিবার মায়ের বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ট্রেনে চেপে কলকাতায় পালিয়ে আসে দুই বোন। শিয়ালদহ স্টেশনে নেমে রেলের বিএনআর হাসপাতালের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল তারা। এক যুবককে দেখে কাজের খোঁজ করায় সেই যুবক দুই বোনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে এন্টালি তানা দুই বোনকে কলকাতা শিশু কল্যাণ সমিতির সামনে হাজির করায়। দু’জনকেই সল্টলেকের সুকন্যা হোমে পাঠানো হয়। খবর দেওয়া হয়েছে তাদের বাড়িতেও।

গত শনি ও রবিবার মিলিয়ে কলকাতা চাইল্ড লাইনের হেফাজতে রয়েছে এমন দশ জন, যাদের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে এই নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ৩০০-৩৫০ ছাড়িয়ে যায় বলে চাইল্ড লাইন জানিয়েছে। যাদের বাড়ি খুঁজে পাওয়া যায়, তাদের ফেরত পাঠানো হয়। বাকিদের ঠাঁই হয় হোমে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন