রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল ঠাকুরপুকুরের একটি নার্সিংহোমে।
পুলিশ জানায়, টালিগঞ্জের বাসিন্দা মানিক সরকার গত সোমবার রাতে ওই নার্সিংহোমে মারা যান। তার পরেই মানিকবাবুর ছেলে সায়ন্তন ঠাকুরপুকুর থানায় চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত ভাবে মৃত্যু ঘটানোর (৩০৪এ) অভিযোগ দায়ের করেন। তবে কারও নাম করেননি তিনি।
পুলিশ জানায়, ওই নার্সিংহোমের কাছে মানিকবাবুর চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি চাওয়া হবে। সেই নথি যাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের কাছে। সেখানকার মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই তদন্তের অভিমুখ ঠিক হবে।
সায়ন্তন জানান, তাঁর বাবাকে হার্টের সমস্যার জন্য ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতাল থেকে ডায়মন্ড হারবার রোডের ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। প্রথম দিন তাঁকে এইচডিও (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) বিভাগে রাখা হলেও পরদিন অবস্থার উন্নতি হওয়ায় জেনারেল ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সায়ন্তনের অভিযোগ, আচমকাই গত ২৬ তারিখ অবস্থার অবনতি হয়েছে জানিয়ে তাঁর বাবাকে আইসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। সে দিনই তাঁর ভেন্টিলেশন চালু হয়ে যায়। ২৭ তারিখ রোগীর অবস্থা ভেন্টিলেশনে থাকতেই আরও খারাপ হয়। অথচ, সেই সময়ে সেখানে নার্স বা চিকিৎসকের দেখা পাননি তাঁরা। বৃহস্পতিবার সায়ন্তন বলেন, ‘‘বাবাকে ওই দিন দেখতে গিয়েছিলেন আমার মা ও ভাই। তাঁরা দেখেন, বাবার অবস্থা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কেউ নেই। এর পরেই বাবার মৃত্যু হয়।’’
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছেন, মানিকবাবুর যে ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন ছিল, তাঁকে সেটাই দেওয়া হয়। কোনও ধরনের গাফিলতি হয়নি।